বিএনপির উচিৎ প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের ধন্যবাদ জানানো–মুহাম্মদ আবদুল্লাহ

আপডেট: আগস্ট ২৭, ২০২১
0

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন, দেশের কোন সংকট পরিস্থিতি থেকে মানুষের দৃষ্টি ফেরানোর জন্যও জিয়া, খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের কোন বিকল্প খুঁজে পাচ্ছেন না শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এতে মিডিয়ায় কোনঠাসা বিএনপি প্রকারান্তরে লাভবানই হচ্ছে । তাই বিএনপির উচিৎ প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের ধন্যবাদ জানানো । তার নিজস্ব ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এভাবেই গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেছেন। তার ফেসবুক পোস্ট থেকে হুবুহু দেশজনতা ডটকমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো …..

বাংলাদেশের গণমাধ্যম শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম নেয় কদাচিত। জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকীতেও প্রাপ্য স্থান দেয়না বা দিতে পারেনা গত এক যুগ ধরে। বারো মাসের মধ্যে পাঁচ-ছয়টি মাস এক ব্যাক্তি বা পরিবারের বন্দনায় কাটে সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইনসহ ট্রাডিশনাল মিডিয়ার। আর মিডিয়া-বিরাগী বিএনপি দু-একটি সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেটুকু প্রচার পায় তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।

এমন বাস্তবতায় প্রায় প্রতিদিনই সরকারের কোন না কোন মন্ত্রী শহীদ জিয়াকে স্মরণ করেন! জিয়া পরিবার নিয়ে দু-চারটা খিস্তিখেউড়, গালাগাল ও বিষোদগার না করলে মন্ত্রী-নেতারা মিডিয়া কভারেজ পাননা। তাদের চেয়ার টেকে না। তরক্কি হয় না।

আবার দেশের কোন সংকট পরিস্থিতি থেকে মানুষের দৃষ্টি ফেরানোর জন্যও জিয়া, খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের কোন বিকল্প খুঁজে পাচ্ছেন না শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এতে মিডিয়ায় কোনঠাসা বিএনপি প্রকারান্তরে লাভবানই হচ্ছে । জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রাণপুরুষ জিয়াউর রহমানকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নেতা-নেত্রীদের অবদান অতুলনীয়!

যতই জিয়াকে ভিলেন হিসেবে তুলে ধরার অপচেষ্টা হচ্ছে, ততই জিয়াউর রহমানকে জানার, সঠিক ইতিহাস খুঁড়ে বের করার আগ্রহ বাড়ছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে। বানোয়াট প্রচারণার বিপরীতে কষ্টিপাথরে যাচাই করে সত্য জানছে তারা। সামাজিক মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের গগনচুম্বী জনপ্রিয়তা, প্রশ্নাতীত সততা, অপরিমেয় দেশপ্রেম, স্বনির্ভর দেশ গড়ার অদম্য কর্মস্পৃহা এবং সর্বোপরি তাঁর মৃত্যুর পর গোটা বাংলাদেশ যে একটি কফিনের পাশে ভেঙে পড়েছিল তার ভিডিও, আলোকচিত্র, পেপার ক্লিপ ভাইরাল হচ্ছে। একটা কথা প্রচলিত আছে, নেতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর ইতিবাচক প্রচার সুবিধা পাওয়া যায়। তাই পাচ্ছে জিয়া পরিবার।

উন্নত বিশ্বতো বটেই, বাংলাদেশের সমপর্যায়ের দেশগুলোও যখন তাদের নাগরিকদের কোভিড ভ্যাক্সিন দেওয়া প্রায় সম্পন্ন করেছে, মহামারী থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে, তখন মাত্র ৫-৭ শতাংশ মানুষকে দুই ডোজ ভ্যাক্সিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আরও প্রায় ২৫ কোটি ভ্যাক্সিনের সংস্থান কিভাবে হবে তা ঘোর অন্ধকারে। কয় বছরে শতভাগ নাগরিক ভ্যাক্সিন পাবে তা অনিশ্চিত।

ভ্যাক্সিনের অর্থের যোগান এক বড় চ্যালেঞ্জ। এদিকে সব নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন। নাগরিক ভোগান্তি পদে পদে। অর্থনীতির সব সূচক নাজুক। আঞ্চলিক রাজনীতি ও কূটনীতিতে বেহাল দশা। এসব থেকে দৃষ্টি ফেরাতে ‘জিয়া থেরাপি’ যদি সাময়িক অবলম্বন হয়, হোক না। শহীদ জিয়ার স্থান এদেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে প্রোথিত ও নির্ধারিত। ইতিহাসের নতুন পাঠ নেওয়ার সময় কারও নেই।