বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী হত্যার ঘটনায় বিএনপির নিন্দা

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
0

রৌমারীর দাঁতভাঙ্গা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের গুলিতে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটি।

শনিবার স্থায়ী কমিটির এক ভার্চূয়াল সভায় এ নিন্দা জানানো হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় স্থায়ী কমিটি বলে, গত ৪ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা গুলি করে শাহিবর রহমান নামে এক বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করে। সভ্য পৃথিবীর কোনো দেশের সীমান্তে এই ভাবে মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয় না। এটা আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই এই সকল হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কখনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। সভায় এই ধরনের ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ড বন্ধে ভারতীয় কতৃপক্ষকে বাধ্য করতে সরকারকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে, ‘উপহারের ঘর যারা ভেঙ্গেছে তাদের তালিকা হাতে রয়েছে’প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীনে ঘর নির্মানে দূর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগ দলীয় ঠিকাদার ও দলবাজ আমলাদের দূর্নীতির পক্ষে সাফাই গাওয়ার শামিল। সভা বলে, প্রকৃত পক্ষে দূর্নীতিকে এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে সমর্থন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে আওয়ামী সরকার দূর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিচ্ছে। সভায় প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করা হয়।

সভায়, চট্টগ্রাম পুরাতন সার্কিট হাউজে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের নামে থাকা যাদুঘর সরিয়ে ফেলা হবে বলে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী যে উক্তি করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

সভায় নেত্রীবৃন্দ বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার পর তৎকালীন সরকার সার্কিট হাউজটিকে যাদুঘরে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। এটা ছিল জনগণের দাবীর ভিত্তিতে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষকের প্রতি জাতির সম্মান প্রদর্শনের নিদর্শন। যাদুঘর সরানোর হীন সিদ্ধান্ত কোন দিনই জনগণ মেনে নেবে না।

সভায়, সম্প্রতি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতিসহ দলের বহুসংখ্যক নেতা-কর্মী এবং অন্যান্য বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দকে অবিলম্বে মুক্তি এবং সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।