বিদ্যুৎ এর তার চুরি করতে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে পালালেন পিডিবির ঠিকাদার মাহাবুব

আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২১
0

শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
ঠিকাদার যখন চোর। পিডিবি’র ঠিকাদার হয়ে পল্লী বিদ্যুতের ইলেক্ট্রিক তার চুুুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা খেয়েও কৌশলে পলায়ন। এমনি ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। সোমবার দুপুরের এ ঘটনায় শহর জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সৈয়দপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের (ওয়াবদার) পিছনে পল্লী বিদ্যুৎ এর নতুন লাইন নির্মানের কাজ চলছে। নতুন হাই ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইনে ব্যবহৃত হচ্ছে মূল্যবান এলুমিনিয়াম ক্যাবল।

উক্ত এলুমিনিয়াম ক্যাবলের বর্তমান বাজার মূল্য ছয়শত টাকা কেজি। গত কয়েকদিন যাবত দিনে ও রাতে নির্মানাধীন ক্যাবল লাইনের তার সৈয়দপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের গোলাহাট এলাকার হামিদ ঠিকাদারের ছেলে পিডিবির ঠিকাদার মাহাবুব হোসেন ট্রলিসহ লোকজন নিয়ে এসে বীরদর্পে তার কেটে ট্রলিতে করে নিয়ে যাচ্ছেন।

প্রতিদিনের মত সোমবারও তার কেটে ট্রলিতে ওঠাতে থাকেন। এসময় স্থানীয় জনগন টের পেয়ে তাকে তাঁর কাটার বিষয়ে প্রশ্ন করেন। আপনি পিডিবির ঠিকাদার অথচ আপনি পল্লী বিদ্যুতের তার ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে যাচ্ছেন কেন? এতেই তার ৫/৭ জন কর্মচারী পোল থেকে নেমে পালাতে শুরু করে।

ডিজিটাল যুগে তাদের এই পালানোর চিত্র অনেকেই ভিডিও করে রাখেন। তৎক্ষনাৎ কন্ট্রাকটর মাহাবুব এসে স্থানীয় জনতার সাথে টাকা দিয়ে বিষয়টি রফা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু জনতা তা না মেনে থানায় খবর দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ এসে চোরাই কাজে ব্যবহ্রত ট্রলি এবং চোরাই তার জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় জনগন প্রমান হিসাবে তার কাটা এবং পালানোর ভিডিও চিত্র পুলিশের হাতে দিয়ে দেন।

এব্যপারে স্থানীয় ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন হোসেনকে মোবাইলে জিজ্ঞেস করলে তিনিও বলেন, ২নং ওয়ার্ডের গোলাহাট ঘোড়াঘাট এলাকার হামিদ কন্ট্রাকটরের ছেলে মাহাবুব ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত। চোরাই তারের ব্যবসা করে সে এখন কোটিপতি। ঠিকাদারীর আড়ালে এটিই তার প্রকৃত ব্যবসা।

পল্লী বিদ্যুতের উদ্ধতন কতৃপক্ষ ঘটনাস্থলে এসে তাদের নিজস্ব ঠিকাদার মোসলেম উদ্দিনকে বাদী করে সৈয়দপুর থানায় দায়ের করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঠিকাদার মাহাবুব হোসেন পলাতক রয়েছে । ঠিকাদার মাহাবুবের বাসায় তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।