বিশ্বনবী (সা.)এর প্রতি বিশ্ববাসীর ভালবাসা

আপডেট: জুলাই ১, ২০২২
0

।। মাওলানা এরফান শাহ ।।

সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য, যিনি আমাদেরকে সত্য ধর্ম ইসলামের দৌলত দান করেছেন। সালাতু সালাম বর্ষিত হোক মহান আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত দূত বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর। সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর পরে যার সম্মান, মর্যাদা ও স্থান তিনিই হচ্ছেন আমার প্রিয় নবীজী সা.।

তিনি জগতবাসীর জন্য রহমত। মানব জাতির পথ প্রদর্শক। শান্তি ও মুক্তির দূত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক নিজেই উনার প্রশংসা করেছেন। মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, “আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী”। “আপনার মর্যাদা সুমহান”। মুমিনগণ নবীকে প্রাণের চেয়েও অধিক ভালবাসেন”। তিনি মহা মানব। তিনি সর্বশ্রেষ্ট নবী। তিনি সর্বশেষ নবী।

উনার কোন তুলনা হয় না। যারা আমার প্রিয় নবীজীর সা. সাথে অন্যকারো তুলনা করে নবীজীর সা. শান-মান ও শ্রেষ্টত্ব প্রমাণ করতে চান তাদেরকে সবিনয়ে বলতে চাই, অন্যকারো সাথে প্রিয় নবীজীর সা. তুলনা চলে না। এটিই প্রতিটি মু’মিনের ঈমান, বিশ্বাস, আবেগ ও ভালবাসা।

এক পারস্য কবি বলেন, “মুহাম্মদ সা. কখনো কিছু বলতেন না, যতক্ষন জিবরাইল আ. না বলতেন আর জিবরাইল আ. কখনো কিছু বলতেন না, যতক্ষণ স্বয়ং আল্লাহপাক না বলতেন”।

হাদিসে এসেছে, বিয়ের আগে নবীজী সা. আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. কে স্বপ্নে দেখেছেন। নবীজী সা. কে জিবরাইল আ. আম্মাজান আয়েশার রা. প্রতিচ্ছবি দেখিয়ে বলেন, ইনি হবেন আপনার স্ত্রী। উল্লেখ্য, নবীগণের স্বপ্নও ওহি। সুতরাং, এ কথা নির্দ্ধিধায় বলা যায় স্বয়ং আল্লাহ পাকের ইশারায় নবীজীর সা. সাথে উম্মুল মু’মিনিন আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দিকার রা. নিকাহ সম্পন্ন হয়েছে।

অতএব, রাম ও সিতা তথা দুনিয়ার কোন পন্ডিত কত বছর বয়সে বিয়ে করেছেন, সেই রেফারেন্স টেনে আমার প্রিয় নবীজীর সা. সাথে তুলনা করা অবান্তর নয় কী? একজন পচিঁশ বছরের অবিবাহিত যুবক চল্লিশ বছরের একজন মুতাল্লাকা মহিলাকে বিয়ে করার নজির পৃথিবীর কোথাও আছে কী? অথচ, মানবতার নবীর এসব বিষয়ে ইসলাম বিদ্বেষীরা অন্ধ! দুই হাজারের বেশি হাদিস আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে। এখানে নিশ্চয় উম্মতের শিক্ষা ও কল্যাণ নিহীত আছে।

নবীজীর সা. নিকাহ মোবারক নিয়ে তখনকার কাফের, মুশরিক ও ইসলাম বিদ্বেষীরাও কোনো আপত্তি তোলেনি। এক কথায় তখনকার সময়ে আরবে এ ধরনের বিয়ের প্রচলন ছিল। এখন চৌদ্দশত বছর পরে এসে তথাকথিত মুখপাত্র কুলাঙ্গার, সময়ের দাজ্জাল নূপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দাল আমার প্রিয় নবীজীর সা. শাদী মোবারক নিয়ে আঙ্গুল তোলার কে?

এ ধরনের কটুক্তি ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য নিঃসন্দেহে অজ্ঞতা ও বিদ্বেষপ্রসূত! নবীজীর সা. শানে বেয়াদবী! বিশ্বের দু’শত কোটি মুসলমানের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে! আমরা এই ধৃষ্টতার প্রতিবাদ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

উম্মাহ ডটকম