বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস ২০২১’ এর পুরষ্কার বিতরণী এবং ‘বি.আই.পি. সম্মাননা পদক ২০২১’ অনুষ্ঠিত

আপডেট: ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
0

নগর পরিকল্পনায় পেশাজীবি এবং সাংবাদিকদের বলিষ্ঠ ভূমিকার মাধ্যমে টেকসই নগর বিনির্মাণ ও নগর এলাকার নানাবিধ সমস্যার কার্যকর সমাধান সম্ভব। এছাড়াও এলাকাভিত্তিক নাগরিক সুবিধাদী তৈরি করা, ওয়ার্ড কেন্দ্রিক উন্নয়ন বৈষম্য দূরীকরণ সহ আলাদা ওয়ার্ড ভিত্তিক নগর পরিকল্পনা প্রণয়ন এর মাধ্যমে অন্তর্ভূক্তিমূলক টেকসই নগর গড়ে তোলা সম্ভব। বি.আই.পি. কর্তৃক আয়োজিত বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস ২০২১ এর পুরষ্কার বিতরণী এবং ‘বি.আই.পি. সম্মাননা পদক ২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশেষজ্ঞগণ উপরোক্ত মতামত সমূহ প্রদান করেন।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর উদ্যোগে অদ্য ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ (শনিবার), সকাল ১০.৩০টায় “বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস ২০২১’ এর পুরষ্কার বিতরণী এবং ‘বি.আই.পি. সম্মাননা পদক ২০২১’ শীর্ষক অনুষ্ঠান বি.আই.পি. কার্যালয়ে আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সহ-সভাপতি পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইনস্টিটিউট এর যুগ্ন সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ রাসেল কবির।

এছাড়াও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, সহ-সভাপতি পরিকল্পনাবিদ ড. চৌধুরী মোহাম্মদ যাবের সাদেক, কোষাধ্যক্ষ পরিকল্পনাবিদ তৌফিকুল আলম, বোর্ড সদস্য পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম, পরিকল্পনাবিদ কাজী সালমান হোসেন সহ অন্যান্য বোর্ড সদস্য এবং পরিকল্পনাবিদগণ এবং পুরষ্কার বিজয়ী প্রতিযোগী সহ অভিভাবকগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে নগর সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় ডেইলি স্টার এর সাবেক সিনিয়র রিপোর্টার মোঃ তাওফিকুল আলী এবং প্রথম আলোর সাবেক স্টাফ রিপোর্টার মোঃ সাদ্দাম হোসাইন কে নগর সাংবাদিকতা ক্যাটাগরীতে প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত ‘বি.আই.পি. সম্মাননা পদক’ দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগরী এলাকায় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপুর্ণ অবদান এর স্বীকৃতি হিসেবে পরিকল্পনাবিদ মোঃ আশরাফুল ইসলাম এবং বাংলাদেশের নগর এলাকার গণপরিসর, পার্ক-উদ্যান সহ পরিকল্পনার বিভিন্ন শাখায় অবদান রাখায় পরিকল্পনাবিদ সালমা এ শফীকে ‘বি.আই.পি. সম্মাননা পদক’ প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিশেষ স্বীকৃতি হিসেবে ম্যারাথন দৌড়বিদ পরিকল্পনাবিদ এ বি এম সিদ্দিকুল আবেদীন এবং নগর পরিকল্পনা বিষয়ে গণমাধ্যমে কলাম ও প্রবন্ধ লেখনীর মাধ্যমে পরিকল্পনা বিষয়ক জ্ঞানের বিস্তার ও প্রসার এবং গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে অবদান এর স্বীকৃতি স্বরূপ পরিকল্পনাবিদ মোঃ শাহ জালাল মিশুক কে ‘বি.আই.পি. সম্মাননা পদক’ প্রদান করা হয়।

এছাড়াও বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস উপলক্ষ্যে শিশু এবং প্রাথমিক বিভাগে চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, পোস্টার, আলোকচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র, গবেষণা প্রবন্ধ, পরিকল্পনা উদ্ভাবনী ধারণা সহ নানাবিধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সাধারন সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস এর প্রতিপাদ্য ওয়ার্ড ভিত্তিক নগর পরিকল্পনার উপর মুল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি মহাপরিকল্পনা, কৌশলগত পরিকল্পনা সহ বড় পরিসরে পরিকল্পনার পাশাপাশি ওয়ার্ড বা মহল্লা ভিত্তিক পরিকল্পনার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এছাড়া পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রতিটি এলাকায় শিশুদের প্রাথমিক বিদ্যালয়, খেলার মাঠের সুযোগ সৃষ্টি, স্বাস্থ্য সুবিধাদি নিশ্চিতকরন সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন। একইসাথে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ওয়ার্ড কমপ্লেক্স নির্মাণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নাগরিক সুযোগ সুবিধার সম্প্রসারণ সম্ভব বলে তিনি মত দেন। সকলের মাঝে পরিকল্পনার ধারণা ছড়িয়ে দিতে পরিকল্পনাবিদদেরদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. আদিল।

সমাপণী বক্তব্যে পরিকল্পিত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রত্যককে স্ব স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন সহ ভবিষ্যতে ‘নগর পরিকল্পনা দিবস’ এবং ‘বি.আই.পি. সম্মাননা পদক’ প্রদানের অনুষ্ঠান আরও বড় পরিসরে উদযাপন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সহ-সভাপতি পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম।