বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ২১৫০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি

আপডেট: এপ্রিল ২৩, ২০২১
0

করোনা পরিস্থিতিতে দেশে মানসম্মত কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও চাকরি হারানোর ঝুঁকি মোকাবিলায় আরও ২৫ কোটি ডলারের ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। এর আগেও একই খাতে ব্যয়ের জন্য ২৫ কোটি ডলার দিয়েছিল সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত ঋণচুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির আবাসিক প্রতিনিধি মার্সি টেম্বন চুক্তিতে সই করেন।

‘সেকেন্ড প্রোগ্রামেটিক জবস ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট’ কর্মসূচির আওতায় এটি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সংকটকালে সরকারের জন্য আর্থিক ক্ষেত্র তৈরি করবে এই ঋণ।

দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ ও পরিবেশ তৈরি করা হবে এই ঋণ থেকে। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংস্কার এবং আধুনিকায়ন এই অর্থ থেকে করা হবে। সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক ২০১৯ থেকে তিন কিস্তিতে ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে সম্মত হয়েছে।

এই ঋণ দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং স্থিতিশীলতা তৈরিতে সহায়তা করবে। শ্রমিকরা যাতে ভবিষ্যতে বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে না পড়েন সেই বিষয়ে অবদান রাখবে। বিশ্বব্যাংকের বিশাল অর্থায়ন দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিশেষ সংকটের সময়ে উন্নততর চাকরিতে অ্যাক্সেস দিতে সহায়তা করবে।

পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক তিন বছরে মোট ৭৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৫ কোটি ডলারের চুক্তিপত্র সই হয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় বর্তমান ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৫ কোটি ডলার ঋণচুক্তি সই হয়েছে। ফলে দুই দফার ৫০ কোটি ডলার দিলো সংস্থাটি। বাকি ২৫ কোটি ডলার দ্রুতই দেবে বিশ্বব্যাংক।

এই ঋণ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য। এ ঋণের অপরিশোধিত অর্থের ওপর শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। এছাড়া অনুত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক সর্বোচ্চ ০ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ পরিশোধ করতে হবে।