ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও তিস্তার পানি বৃদ্ধির আভাস

আপডেট: এপ্রিল ১২, ২০২২
0

উজানে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে নেমে আসা ঢল ও স্থানীয়ভাবে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। তবে তা বিপদসীমার কিছুটা নিচ দিয়েই প্রবাহিত হবে।

সোমবার রাতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুজ্জামান ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, দেশের উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকায় ও তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম ও অরুণাচলে গত ১ থেকে ৯ এপ্রিল মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানির উচ্চতা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। পরবর্তী সময়ে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকার বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশে বৃষ্টিপাত কমে আসায় ওই অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারত আবহাওয়া অধিদফতরের গাণিতিক মডেলের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকার আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।

তবে পরবর্তীতে ৭২ থেকে ১২০ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানির উচ্চতা আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কমবে। তবে ভারি বৃষ্টিপাতের পরিপ্রেক্ষিতে ১২০ ঘণ্টায় তা বৃদ্ধি পেতে পারে। একইসাথে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা অববাহিকায় ও তৎসংলগ্ন ভারতের দার্জিলিং, সিকিম ও হিমালয় পাদদেশীয় অংশে গত ১ থেকে ৯ এপ্রিল মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।

পরে তিস্তা নদীর অববাহিকার বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশে বৃষ্টিপাত কমে আসায় এ অববাহিকার প্রধান নদ-নদীর পানি বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে।

এদিকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা পয়েন্টে যমুনা নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে গত ১২ ঘণ্টায় ১৬ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্তর পরিমাপক মো: ফারুক হোসেন বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে গত দু’-তিনদিন ধরেই যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। আরো দু’-চারদিন এ পানি বাড়তে পারে। তবে গত ১২ ঘণ্টায় ১৬ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে এখন বিপদসীমার ৪.৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।