ভারতের কর্নাটকের কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ; মুসলিম হওয়ায় ক্লাসে যেতে মানা

আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২২
0
file photo

ভারতের বিজেপিশাসিত কর্ণাটকের উডুপি জেলার একটি সরকারি কলেজে হিজাব নিষিদ্ধের পর থেকেই ছাত্রীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। মুসলিম মেয়েরা হিজাব পরার দাবিতে গত তিন সপ্তাহ ধরে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

এখানকার ছয় মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরার কারণে ক্লাসে আসতে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। শুধু এই ছয় ছাত্রী নয়, নতুন কেউ ভর্তি হলেও ক্লাসে হিজাব পরে যেতে পারবে না। কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ ওই বিষয়ে বিবৃতিতে বলেছেন, এ ধরণের পোশাক পরলে শৃঙ্খলা নষ্ট হয়।

ইসলাম ধর্মে নারীদের জন্য হিজাব পরা ফরজ। পবিত্র এই ধর্মে হিজাব ছাড়া গায়রে মাহরাম পুরুষদের সামনে যাওয়া পাপ।ভারতের সংবিধানেও হিজাব পরার অনুমতি আছে। কিন্তু কর্নাটকের ঐ সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ সরাসরি হিজাব নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। আন্দোলনকারী ছাত্রীরা বলেছেন, হিজাব পরার কারণে গত তিন সপ্তাহ ধরে তাদেরকে ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

তাদের বাবা-মায়েরাও তাদেরকে হিজাব পরার অনুমতি দেওয়ার জন্য কলেজ ম্যানেজমেন্টকে অনুরোধ করেছিলেন কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। আসলে, কলেজ কর্তৃপক্ষ, নিয়মের বরাত দিয়ে বলেছে, ক্লাস চলাকালীন হিজাব পরার অনুমতি নেই।

স্থানীয় মুসলমানেরা বলেছেন, এ ধরণের বিদ্বেষী সিদ্ধান্তের কারণে মুসলিম ছাত্রীরা মহাবিপদে পড়েছেন। মুসলমান হওয়ার কারণে তাদেরকে পড়াশোনাও করতে দেওয়া হবে বলেই মনে হচ্ছে।

‘সত্য হিন্দি ডটকম’ জানিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে কর্ণাটকে মুসলিম বিরোধী ঘটনা বেড়েছে। বজরং দল, ভিএইচপি’র মতো সংগঠনগুলোও মুসলিমদের মৌলিক অধিকার নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। সম্প্রতি বড়দিনের সময় অনেক সংখ্যালঘু খ্রিস্টান পরিবারও হামলার শিকার হয়।