ভারত হিন্দুত্ববাদ কায়েম করছে,অথচ বাংলাদেশের মানুষ নামাজ,আযান দিতে গেলেই জঙ্গিবাদ হয়ে যায়— গয়েশ্বর রায়ের প্রশ্ন

আপডেট: জুন ২৩, ২০২৩
0

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সেন্টমার্টিন দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারলে আওয়ামী লীগ সরকার তা আগেই দিয়ে দিত। এ সময় তিনি বলেন, আমেরিকা সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে নয়, কথা বলেছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে।’

শুক্রবার (২৩ ‍জুন) এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ শাসন ব্যবস্থার গুরুত্ব’ বিষয়ক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘আগামীর বাংলাদেশ’।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি নাকি যুক্তরাষ্ট্রকে সেন্টমার্টিন দিলে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। কিন্তু আমি বলব, সেন্টমার্টিন দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারলে তা আগেই দিয়ে দিতেন। আমেরিকা তো সেন্টমার্টিন নিয়ে কথা বলেনি। তারা বলেছে, এই দেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে।’

‘যেখানে আওয়ামী লীগ থাকে, সেখানে গণতন্ত্র থাকে না’ বলেও মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেভাবে কথা বলেছেন, যদি পশ্চিমারা গার্মেন্টস শিল্প বা পোশাক নেয়া বন্ধ করে দেয়, তখন কি হবে? এ দেশের অর্থনীতির কি হবে? জানি না প্রধানমন্ত্রী কেন এভাবে কথা বলছেন। তিনি জনগণের কথা ভাবেন না। তিনি জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকারের থাকার আর কোনো সুযোগ নেই। তারা কখন যাবে, তা আমি জানি না। তবে যেতে হবে তাদের। কারণ তাদের স্টেক হোল্ডাররা নড়বড়ে হয়ে গেছে।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘৭১ সালের যুদ্ধ কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য হয়েছিল। তখন স্বাধীনতার কথা উঠে আসেনি। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান যদি স্বাধীনতার ডাক না দিতেন তাহলে কিন্তু এই দেশ স্বাধীন হতো না। কারণ সেই সময়ের আওয়ামী নেতারা সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে জিয়াউর রহমানের ডাক শুনে ফিরে এসেছেন।’

ধর্মীয় বিশ্বাস মানেই কি জঙ্গিবাদ?- প্রশ্ন রেখে গয়েশ্বর বলেন, ‘ভারত তো হিন্দুত্ববাদ কায়েম করছে, অথচ মুসলিম দেশ হয়ে বাংলাদেশের মানুষ নামাজ, আযান দিতে পারবে না, এটা তো হয় না।’

‘আগামীর বাংলাদেশের’ চেয়ারম্যান মো: শাহ আলমের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুব জাগপার সভাপতি আমীর হোসেন আমু প্রমুখ।