৬ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরে ভাষানটেক থানার আওতাধীন ১৫০ বিঘা জমির উপর অবস্থিত ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প এবং ঢাকার বিজয় সরণিস্থ কলমিলতা বাজারের ক্ষতিপূরণ প্রদানে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির এর পরিবার। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে “উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর ফ্রিডম ফাইটার্স ফ্যামিলি” শীর্ষক প্রতিবাদী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা থেকে মেয়র আতিক ও ভূমিমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয়। সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য নুরতাজ আরা ঐশী। সভায় অংশ নেন- বিশিষ্ট কলামিস্ট ফরহাদ মাজহার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর দিলারা চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, আলহাজ আব্দুর রহিম প্রমুখ। বিশিষ্টজনরা বলেন, ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প এবং কলমিলতা বাজার নিয়ে যে অনিয়ম চলছে তা একটি স্বাধীন দেশে কাম্য নয়। জেলা প্রশাসক বারবার সমাধানের আহ্বান জানালেও সিটি কর্পোরেশন সমাধান করছে না, যা খুবই দুঃখজনক। আমরা সিটি কর্পোরেশনসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো অতি দ্রুত বিষয় দুটির সমাধান করতে পদক্ষেপ নিন। ৬ দফা কর্মসূচীগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের বাঁধাসমূহ দূর করা, কলমিলতা বাজারের ক্ষতিপূরণ প্রদানে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করা, ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক নর্থ-সাউথ প্রপার্টির চুক্তি বাতিল আদেশ অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করার ব্যবস্থা করা, দুদকের বন্ধ হওয়া তদন্ত কার্যক্রম পুনরায় চালু করা এবং শহীদ পরিবার হিসেবে আলহাজ্ব আব্দুর রহিম সাহেবের পরিবারবর্গের জানমাল ও সম্পদের সুরক্ষা প্রদান করা।
লিখিত বক্তব্যে নুরতাজ আরা ঐশী বলেন, আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের অংশ হিসেবে বিজয়ের মাসব্যাপী শান্তিপূর্ণ পথসভা ও মানববন্ধন করার জন্য গত ২১ নভেম্বর পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন জানিয়েছে। অনুলিপি ডিসি ও ওসির কাছেও দেই। সেই অনুমতি এখনো দেয়া হয়নি। সাংবিধানিক অধিকার অধিকার থেকেও আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বঞ্চিত হচ্ছি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলতে চাই যে, আপনি দয়াকরে এই শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দুইটি বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে সমাধানের জন্য নির্দেশ দিবেন বলে আমরা আশা ব্যক্ত করছি।