ভূরুঙ্গামারীতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ সাবরেজিস্টার অফিসের কার্যক্রম: জনভোগান্তি চরমে

আপডেট: ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
0

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সাব রেজিষ্টার অফিসের দুই বছর যাবৎ সাব-রেজিস্টার পদ শূণ্য থাকায় চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে চলছে এই অফিসের কার্যক্রম। খন্ডকালীন নিয়োগ পাওয়া সাবরেজিস্টারগণ বিভিন্ন অজুহাতে অফিসে বসেন না নিয়মিত। ফলে জরুরি প্রয়োজনে জমি ক্রয় ও বিক্রয় করতে আসা মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
ভূরুঙ্গামারী সাবরেজিস্টার অফিস সূত্রে জানা গেছে,
দীর্ঘ দুইবছর ধরে স্হায়ী সাবরেজিষ্টার না থাকায় অফিসের কার্যক্রম স্হবির হয়ে পরেছে। মাঝে মধ‍্যে খন্ডকালীন সাব রেজিষ্টার আসলেও তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নিয়মিত অফিস করেন না।এই অফিসে সর্বশেষ খন্ডকালীন নিয়োগ পাওয়া সাবরেজিস্টার প্রফুল্ল কুমার গত দুই মাসে অফিস করেছেন মাত্র চার দিন।
এভাবে মাসের পর মাস ধরে একটা সরকারি অফিসে কর্মকর্তার অভাবে অকার্যকর হয়ে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। অনেকের জরুরি চিকিৎসা, বিদেশ গমন, বিয়ে সাদী, জমির জাবেদা নকল উত্তলোন আটকে আছে বলে অনেকেই জানিয়েছেন। দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও জমি বিক্রি করতে না পেরে নিরুপায ভুক্তভোগী মানুষ মহাজনদের কাছে চড়া সুদে ঋণ নিতেও বাধ্য হচ্ছেন তারা।
চরভুরুঙ্গামারী থেকে জমি ক্রয় করতে আসা শফিউদ্দিন বলেন আমি এক খন্ড জমি ক্রয় করেছি দলিলও লেখা শেষ করা হয়েছে প্রায় তিন মাস আগে। টাকাও পরিশোধ করেছি বিক্রেতাকে।কিন্তুু সাবরেজিষ্টারের অভাবে দলিল পার করতে পারছি না।মাসের পর মাস চলে যাচ্ছে কিন্তুু সুফল মিলছেনা।ভূরঙ্গামারী আসছি আর ফিরে যাচ্ছি।আল্লাহই জানে কবে এই দূর্ভোগ থেকে পরিত্রান মিলবে।
ভূরুঙ্গামারী দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান জানান,শখ করে কেউ জমি বিক্রি করে না। গত দুই মাসে রেজিস্ট্রির অপেক্ষায় জমা পড়ে আছে প্রায় নয়শো দলিল। এ সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একজন স্থায়ী সাবরেজিস্টার নিয়োগের জন্য বার বার আবেদন করেও ফল হচ্ছে না। জন ভোগান্তি বিবেচনায় দ্রুততার সাথে একজন স্থায়ী সাবরেজিস্টার নিয়োগ করা জরুরি মনে করেন তারা।
খন্ডকালীন নিয়োগ পাওয়া সাবরেজিস্টার প্রফুল্ল কুমার বলেন, গত ১ডিসেম্বর তিনি জেলা সাবরেজিস্টার অফিসে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন এবং জেলা সাব-রেজিস্টারের অনুমতি নিয়েই তিনি অফিসে আসছেন না এখন।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা সাবরেজিস্টার খালিদ মোহাম্মদ বিন আসাদ বলেন, গোটা জেলায় আমার হাতে সাবরেজিস্টার আছেন মাত্র ৪ জন। সেটা দিয়েই ৯ টি উপজেলা চালাচ্ছি। তবে অবস্থা বিবেচনায় দ্রুততম সময়ের মধ‍্যেই ভূরুঙ্গামারীতে স্থায়ী সাবরেজিস্টার নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
####
আমিনুর রহমান বাবু