ভূরুঙ্গামারীর সীমান্ত দিয়ে আসছে ভারতীয় গরুর মাংস 

আপডেট: মার্চ ৬, ২০২৪
0

সীমান্তের ওপারে জবাই করা এসব গরু মৃত না অসুস্থ সেটা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও গ্রাম গন্জের বিভিন্ন হাট বাজারে কম দামে মিলছে এসব ভারতীয় গরুর মাংস। স্হানীয়দের অভিযোগ দাম কম হওয়ায় উপজেলর বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁতে এইসব মাংশ খাবারের সাথে বিক্রি করা হচ্ছে।পাচার হওয়া ভারতীয় গরুর মাংসে কেমিক্যাল মিশিয়ে তাজা করে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্হানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার ভোটহাট, পাথরডুবী, বাঁশজানি ও শিলখুড়ী সীমান্ত দিয়ে অবাধে ভারতে জবাই করা গরুর মাংস বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। আর তা কয়েক হাত বদল হয়ে চলে আসছে উপজেলার বিভিন্ন  হোটেল-রেস্তোরাঁয়। মাংস তাজা রাখতে রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে একটি চক্র। মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলে গ্রামে গ্রামে ঘুরে চোরাকারবারিরা সাধারণ মানুষের কাছে এসব মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। দেশি গরুর মাংস যেখানে বিক্রি হয় ৭০০ টাকা কেজি দরে। সেখানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা দরে। এসব মাংস অস্বাস্থ্যকর কিনা তা পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব‍্যাবস্হা নেয়ার দাবী জানীয়ছেন স্হানীয়রা।

গত কয়েকদিন আগে উপজেলা পরিষদের গেট সংলগ্ন জামতলা মোড়ে আশরাফুল নামের এক যুবক বাইসাইকেল যোগে বাজার ব‍্যাগে পলিথিনের পোটলায় ভারতীয় গরুর মাংস বিক্রি করার সময় স্হানীয়রা তাকে আটক করে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কমকর্তার নিকট সোপর্দ করে। এই যুবক সদর ইউনিয়নের ভোটহাট গ্রামের সাগর আলীর ছেলে।

সীমান্ত এলাকার অধিবাসী  আমজাদ, আয়নাল ও হালিম জানান, সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু পারাপারের সময় কিছু গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন ওই সব গরু জবাই করা হয়। কোন রুপ স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সুস্থতার সনদ ছাড়াই এসব জবাই করা গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। তাদের অভিযোগ চোরাকারবারিরা মাংস তাজা রাখতে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব‍্য মিশিয়ে মাংস বিক্রি করছেন। এতে আমরা স্বাস্থ্য ঝুকির আশংকা করছি। তাই এসব মাংসের পরীক্ষা করে ব‍্যাবস্হা নেয়ার দাবী জানান তারা।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির বাগভান্ডার কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মন্জুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে জেনে ব‍্যাবস্হা নেয়া হবে।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্হ‍্য কমপ্লেক্সের সেনেটারী ইনসপেক্টর আবু বক্বর সিদ্দিক বলেন বিষয়টি প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কাজ। তবে আমরাও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শামীমা আক্তার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

##

০৬/০৩/২৪