মহানবী (সা.) প্রণীত শ্রমনীতিতে শ্রমিকের মুক্তি নিহিত : অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান

আপডেট: জুলাই ২৪, ২০২৩
0

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেছেন, মানুষ রচিত বই পুস্তুক দ্বারা শ্রমজীবী মানুষের মুক্তি আসবে না। শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির একমাত্র পথ ইসলাম। মহানবী (সা.) প্রণীত শ্রমনীতিতে শ্রমিকের মুক্তি নিহিত রয়েছে।

তিনি আজ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বরিশাল অঞ্চলের উদ্যোগে আয়োজিত ষান্মাসিক দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অঞ্চল পরিচালক কবির আহমেদ-এর সভাপতিত্বে ও সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান-এর সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মহানগর সভাপতি মাস্টার মিজানুর রহমান, বরিশাল জেলা সভাপতি এডভোকেট জহির উদ্দিন ইয়ামিন, পিরোজপুর জেলা সভাপতি জহিরুল হক, মহানগর সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল প্রমুখ।

অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেন, শ্রমজীবী মানুষের জীবনে সুখ-শান্তি নেই। সারাদিন অমানুষিক পরিশ্রম করা সত্ত্বেও দিনশেষে তাদের ঘরে শুধু হাহাকার। পরিবার-পরিজন নিয়ে নিদারুণ কষ্টে তারা দিনাতিপাত করছে। তাদের ঘরে খাবার নেই। গায়ের কাপড় নেই। চিকিৎসা করার মত অর্থ নেই। সন্তান-সন্তুতিকে লেখাপড়া করাবে এই রকম সুযোগ তাদের নেই। শ্রমিকরা শ্রম দেয় ভালো ভাবে বেঁচে থাকার জন্য। কিন্তু বাস্তবিকভাবে শ্রম তাদের কোনো কাজে আসছে না।

তিনি বলেন, শ্রমিকরা দুঃখে কষ্টে জীবন অতিবাহিত করলেও মালিকদের সম্পদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শ্রমিকরা মালিক হতে চায় না। মালিকদের মত আয়েশী জীবনযাপন করতে চায় না। তারা শুধু তাদের ন্যায্য অধিকারটুকু পেতে চায়। এটি কোনো অন্যায্য দাবি না। রাষ্ট্র প্রণীত সংবিধানে শ্রমিকদের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এই অধিকার বাস্তবায়ন চায় লাখো মেহনতি শ্রমিকরা।

অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেন, আমরা শ্রমিকদের জীবনে সুখ-শান্তি চাই। ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়িত হলে শ্রমিকদের জীবনে কোনো দুর্দশা থাকবে না। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মজুরি ফিরে পাবে। তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে। শ্রমিকদের সামাজিক মর্যাদা ও সম্মান অধিষ্ঠিত হবে। ইসলামী শ্রমনীতিতে মালিকরা উপকৃত হবে। মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক হবে মধুর। তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। এই সম্পর্কের বদৌলতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরও বলেন, ইসলাম কারো প্রতি জুলুম করে না। ইসলাম শ্রমিক-মালিকের মাঝে ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করেছে। সুতরাং ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়িত হলে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই।