মাস্টারপ্ল্যান করে বেগম খালেদা জিয়ার ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে — রিজভী

আপডেট: ডিসেম্বর ২১, ২০২১
0

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুব শিগগির বিদেশে নেয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য বারবার দাবি করা সত্ত্বেও সরকার রহস্যজনকভাবে নিরব থাকছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, জনগণের এই মহিয়সী নেত্রী এখন নির্যাতিত, নিপীড়িত, চিকিৎসাহীনতায় মূমুর্ষ। এই দৃষ্টান্তও পৃথিবীতে বিরল। বেগম খালেদা জিয়া বন্দী জীবন-যাপন করছেন দেশেরই এক গণতন্ত্র ও সভ্যতা বিরোধী শক্তির মাস্টারপ্ল্যানের দ্বারা। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বঞ্চিত হচ্ছেন মৌলিক মানবাধিকার থেকে। দেশের প্রচলিত আইনে দেশনেত্রীর বিদেশে চিকিৎসা সম্ভব। দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের দাবিকেও অগ্রাহ্য করে সরকার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিকে নিঃশেষ করে দেয়ার আয়োজনে ব্যস্ত।
তবে আমরা দৃঢ়কন্ঠে বলতে চাই-দীর্ঘ রাজনৈতি জীবনে জনগণের সর্বোচ্চ ভালবাসা অর্জন করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। এই আবেগমন্ডিত ভালবাসার শক্তিকে বিকারগ্রস্ত অগণতান্ত্রিক দানবীয় শক্তি কখনোই পরাজিত করতে পারবে না। যে ঝুঁকি ও সাহস নিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জনগণের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে, তাঁকে ধ্বংস করা যাবে না।
সাংবাদিক বন্ধুরা,
আমরা আবারো জোরালো কন্ঠে বলতে চাই-এই মূহুর্তে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

দেশের তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে জীবনের এক চরম সঙ্কটময় মূহুর্ত পার করছেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য বারবার দাবি করা সত্বেও সরকার রহস্যজনকভাবে নিরব থাকছে। এছাড়াও বেগম খালেদা জিয়া শারীরিক নানা সমস্যা নিয়ে চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসকবৃন্দ। এই চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়, তাঁকে বাঁচাতে হলে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা জরুরী প্রয়োজন। যতই দিন যাচ্ছে তাঁর শারীরিক অবস্থার ততই অবনতি ঘটছে।
‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ বেগম খালেদা জিয়ার মূমুর্ষ অবস্থাকে কোনভাবেই বিবেচনায় না নিয়ে সরকার এক ভয়ানক মনুষ্যত্বহীন চক্রান্তে মেতে উঠেছে। তাঁকে পৃথিবী থেকে বিদায় করার জন্যই তাঁর চিকিৎসা নিয়ে সরকার নানামূখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। অথচ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মতো সংগ্রামশীল জীবন এখনও কেউ অতিক্রম করতে পারেনি। এদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ইতিহাসে এক সমুজ্জল নাম খালেদা জিয়া। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে তিনি যে রাজনৈতিক তরঙ্গ তৈরী করেছিলেন তা আজও গণতন্ত্রহারা মানুষকে আন্দোলিত করে। বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষমতা জনগণ থেকে উৎসারিত, ষড়যন্ত্রের কোন অন্ধকার প্রকোষ্ঠ থেকে নয়।