মুসলিম বলেই বরখাস্ত, দাবি ব্রিটিশ নারী মন্ত্রীর

আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২২
0

ব্রিটেনের প্রথম মুসলিম মহিলা মন্ত্রী ছিলেন তিনি। ছিলেন পরিবহণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেই নুসরত গনিকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নুসরতের দাবি, তিনি মুসলিম হওয়ায় তাঁকে নিয়ে অস্বস্তি বোধ করতেন কনজ়ারভেটিভ পার্টির সতীর্থেরা। সেই কারণেই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয়েছিল।

৪৯ বছরের নুসরতের দাবি, সরকারের এক সচেতকই তাঁকে জানিয়েছিলেন, কেন তাঁকে সরানো হচ্ছে। সংসদীয় নীতির দায়িত্বে থাকা ওই নেতা নুসরতকে বলেছিলেন, মুসলিম পরিচয়ই তাঁকে বরখাস্তের অন্যতম কারণ।

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দফতর এ নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও সরকারের মুখ্য সচেতক মার্ক স্পেনসার টুইটারে দাবি করেন, নুসরত আসলে তাঁর দিকেই ইঙ্গিত করছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘এই সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং অবমাননাকর। যে সব কথা আমার মুখে বসানো হচ্ছে, তা বলিনি।’’

একটি ব্রিটিশ সংবাদপত্রের খবর, দলের প্রতি তাঁর বিশ্বাস নড়ে গিয়েছে বলে নুসরত জানিয়েছেন। পার্লামেন্ট সদস্যও তিনি আর থাকবেন কি না, তা নিয়েও ভাবনা-চিন্তা করেছেন।

তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে বলা হয়, ডাউনিং স্ট্রিটে রদবদল সংক্রান্ত বৈঠকে ‘ইসলামত্ব’ নিয়ে কথা উঠেছিল। এ-ও জানানো হয় যে, আমার ‘মহিলা মুসলিম মন্ত্রী’ পরিচয় নাকি আমার সহকর্মীদের অস্বস্তিতে ফেলছে।’’ বস্তুত, কনজ়ারভেটিভ পার্টির বিরুদ্ধে আগেও ‘ইসলাম-ভীতি’-র অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, জনসন নিজেই এক বার বোরখা-পরা মহিলাদের লেটারবক্সের সঙ্গে তুলনা করে নিন্দার মুখে পড়েছিলেন।

মুসলিম-বিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চাইতে হয়েছিল তাঁকে। নয়া অস্বস্তির মুখে সচেতক স্পেনসার দাবি করেছেন, নুসরতকে তাঁর অভিযোগের বিষয়ে অন্তর্বর্তী তদন্তের কথা বলা হয়েছিল।