ময়মনসিংহে ছাত্রদলের উপর পুলিশের গুলি-লাঠিচার্জ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশসহ আহত ৩০

আপডেট: জুন ১৭, ২০২১
0

ময়মনসিংহের শহরতলী এলাকায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ছাত্রদলের আলোচনা সভাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে ছাত্রদলের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষনে ব্যাপক লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর চরকালী বাড়ী দাখিল মাদরাসা মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন- কোতুয়ালি মডেল থানার ওসি তদন্ত ফারুক হোসেন, ওসি অপারেশন ওয়াজেদ আলী, পুলিশ সদস্য চাঁন মিয়াসহ কমপক্ষে ১০ পুলিশ এবং ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, ঢাকা মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুর রশিদ হাবিব, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মাজেদুর রহমান রুমন, বিভাগীয় সহ-সাংগাঠনিক সম্পাদক নাইমুল করিম লুইম, মহানগর ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক তানভীর আহমদ রবিন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ইফতেখার আলম রাজু, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান রানা, সাধারন সম্পাদক আবু দাউদ রায়হান, উত্তর জেলার সভাপতি নিহাদ সালমান ডুনন, সাধারন সম্পাদক রায়হান শরীফ হলুদ, সহ-সভাপতি সাইফুজ্জামান সরকার শাওন, গুলিবিদ্ধ হয় আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রদল নেতা রাকিবুল ইসলাম রাকিব, মহানগর নেতা রাব্বিল হাসান ও জাহাঙ্গীর এবং ছাত্রনেতা মোমেন’সহ কমপক্ষে ২০ ছাত্রদল নেতাকর্মী।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো আহমার উজ্জামান বলেন, চরকালী বাড়ী এলাকায় কোভিড নিশেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে ছাত্রদল সমাবেশ করছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিনা উসকানিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করেন । এসময় বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত হযেছেন।

তবে ছাত্রদল কেন্দ্রিয় সংসদের সহ-সভাপতি মাজেদুল ইসলাম রুমন বলেন, ময়মনসিংহ মহানগর, উত্তর ও দক্ষিন, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাকৃবি ছাত্রদলের উদ্যোগে দক্ষিন চরকালিবাড়ি এলাকার একটি মাঠে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে। মহানগরে বাইরে অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের অনুমতি ছিল। কিন্তু পুলিশ বিনা উসকানিতে সভায় হামলা করে সভাপন্ড করে দেয় এবং নেতাকর্মীদের উপর গুলি বর্ষন করে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। এতে ছাত্রদলের অনেক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ জন।

এবিষয়ে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, সরকারের পেটুয়া বাহিনী যতই নিপিড়ন নির্যাতন করুক না কেন ছাত্র-জনতার নেতেৃত্বেই এই ফ্যসিষ্ট সরকারের পতন ঘটবেই ইনশাল্লাহ।

এদিকে এ সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার। এ সময় প্রায় ২০টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় বলেও জানান তিনি।