ময়মনসিংহে নারী পুলিশ সদস্যকে রামদা দিয়ে কোপাল দুর্বৃত্তরা, আটক ৪

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
0

নিজস্ব প্রতিবেদক: ময়মনসিংহের সদর উপজেলার চর ভবানীপুরের গ্রামের বাড়িতে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে এসে প্রতিপক্ষের রামদার কোপে গুরুতর আহত হলেন পুলিশ সদস্য সুমাইয়া খাতুন।

নারী পুলিশ সদস্যকে আহত করার অভিযোগে চার জনকে আটক করেছে কোতোয়ালী পুলিশ। আটককৃতরা হলেন আজিুল হক (৫২), সারোয়ার (২৭), আবুল কালাম (৩৫) ও মঞ্জু (২৯)।

সুমাইয়া খাতুন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে কর্মরত রয়েছেন।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, নারী পুলিশ সদস্য সুমাইয়া ছুটিতে এসে হামলার শিকার হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় সুমাইয়ার ভাই আলী আকবর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। বিভিন্ন জায়গা রাতভর অভিযান পরিচালনা করে এজাহার ভুক্ত আসামি চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানায়, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়নের চর ভবানীপুরে ২৩ বছর ধরে জমিজমা নিয়ে আলী আকবর এবং আজিজুল হক এই দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্ধ চলছিল।

রোববার বিকেলে এ নিয়ে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে আজিজুল হকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আলী আকবরের পরিবারের ওপর হামলা করে। এ সময় আলী আকবরের বোন সুমাইয়া খাতুন তার শিশু সন্তানকে নিয়ে বারান্দায় বসে থাকলে তার মাথায়ও রামদা দিয়ে কোপ দেয় মারাত্মক যখম করে। এতে সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে পড়েন সুমাইয়া। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সুমাইয়ার বোনও আহত হয়েছেন।