যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি কার্যকরের বিরুদ্ধে পাল্টা নিষেধাজ্ঞার হুঙ্কার শেখ হাসিনার

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
0
file photo

ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাল্টা নিষেধাজ্ঞার হুঙ্কার দিয়েছেন সম্প্রতি আমেরিকার ভিসানীতি কার্যকরের বিরুদ্ধে। তাঁর ভাষায় দেশের বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হলে বাংলাদেশের জনগণ নিষেধাজ্ঞা দিবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ভিসানীতি কার্যকরের ঘোষণা দেওয়ার পরের দিনই শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে এই হুঙ্কার দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শুক্রবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ হুঙ্কার ছাড়েন।

সেনাবাহিনীর প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন ‘বাংলাদেশে এখন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের কোনো সুযোগ নেই এবং সংবিধান লঙ্ঘনকারীদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও সংবিধান লঙ্ঘন করে কেউ যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এটি ভুলে গেলে চলবে না।’

শেখ হাসিনার ভাষায় ‘শুধু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া অন্য কেউ বিকল্প উপায়ে ক্ষমতায় আসতে চাইলে তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এটা মাথায় রাখতে হবে। তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে ’

তিনি জানান, দেশের অভ্যন্তর থেকে উদ্ভূত অনেক বাধা মোকাবিলা করে ক্ষমতায় রয়েছেন। জনগণ যদি আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়, তাহলে দলটি আবার ক্ষমতায় আসবে। যারা বলছেন, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হলে তারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন, তাদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, নির্বাচন বানচালের এই চেষ্টা দেশের বাইরে থেকেও করা উচিত নয়।’

তাঁর অভিমত হচ্ছে নির্বাচনের জন্য ফ্যাসিবাদী সরকার সংস্কার করেছে। তাঁর মতে ‘এখন ব্যালট বাক্স স্বচ্ছ এবং জাল ভোট দিয়ে বাক্স পূরণের কোনো সুযোগ নেই। ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এগুলোকে নির্বাচনী সংস্কার হিসাবে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আইনটি আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ করেনি। আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করেছি। আমরা নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ আর্থিক স্বাধীনতা দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন একসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে ছিল। নির্বাচন কমিশন এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন। আওয়ামী লীগ সরকারই এটা করেছে। এটা মাথায় রাখতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যারা উদ্বিগ্ন, তাদের তিনি বলতে চান, সংবিধানের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনগণই ক্ষমতার উৎস এবং রাষ্ট্রের মালিক।’

বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসা নীতি সম্পর্কে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে অনুষ্ঠিত অনেক নির্বাচন, উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট পেয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। তাই আমরাও চাই নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছ হোক।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমুলক নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের আমেরিকা ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বাংলাদেশের জন্য ঘোষিত ভিসানীতি কার্যকর করা শুরু হয়েছে বলেও দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।