এম সিরাজুল ইসলাম চরফ্যাশন(ভোলা)
চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী স্কুল কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে অত্মহত্যার চেষ্টা করে। এই ঘটনা নিয়ে এলাকা তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার ৫দিন অতিবাহীত হলেও আজ পর্যন্ত ওই পরিবার কোন বিচার পায়নি। এব্যাপারের ওই স্কুল প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন ওরফে ডেমোকামালের বক্তব্যে নিতে চাইলে তিনি রেগে সংবাদ কর্মীদেরকে হুমকি ধমকী প্রদান করেন। ঘটনাটি গত মঙ্গলবারদুপুরে শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটান দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
শুক্রবার দুপুরে স্কুল শিক্ষার্থীও তার পরিবার জানান, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে শশীভূষণ থানাধীন রসুলপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ড মো. শামসুর রহমান পন্ডিতের ছেলে মো. তুহিন পন্ডিত (৩৫) সম্প্রতি সময়ে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
বিষয়টি তাৎক্ষণিক তার বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকমন্ডুলীদেরকে জানানের পরেও কোনো কর্নপাত না করে স্কুল শিক্ষকেরা উল্টো তাকে নিয়ে হাসা-ঠাট্র্রা করেন।
শিক্ষকদের হাসি ঠাট্রা যৌন উক্ত্যক্তের বিচার না পেয়ে লোকলজ্জায় স্কুল কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই শিক্ষার্থী ।
একজন গণমাধ্যমকর্মী বলেন,শিক্ষার্থীর যৌন হয়রানি, শিক্ষকদের কুটুক্তি করার বিষয়টি জানতে শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. কামাল হোসেনকে ফোন দিলে সে উত্তেজিত হয়ে রেগে যান। পত্র পত্রিকা প্রকাশ করলে সাংবাদিকদেরকে দেখিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান পাটোওয়ারী বলেন, তাৎক্ষণিক বিদ্যালয় (ঘটনাস্থলে) গিয়ে প্রস্তুতি নেয়ায় ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে তাঁর মা-বাবার জিম্মায় বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্ত তুহিনের সাথে পারিবারিক দ্বন্ধ রয়েছে। ইতিপূর্বেও তুহিনের বিরুদ্ধে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার একটি শ্লীলতাহানির মামলাও রয়েছে। সদ্য বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আল নোমান সাংবাদিকদের সাথে স্কুল প্রধানের এহেন আচরণের দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এম সিরাজুল ইসলাম
চরফ্যাশন(ভোলা)প্রতিনিধি
