রমনা থানার ওসি মনিরুলের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

আপডেট: আগস্ট ২১, ২০২২
0

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের বিপুল সম্পদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের সংক্রান্ত আনীত অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে তদন্ত করে আগামী তিন মাসের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।

রোববার (২১ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দান মানিক।

এর আগে গত ৫ আগস্ট একটি জাতীয় পত্রিকায় রমনা থানার ওসির বিপুল সম্পদের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটিতে রাজধানীতে একটি আটতলা বাড়ি-প্লটসহ বিপুল সম্পদের মালিক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের বিপুল সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়।

পরে গত ৮ আগস্ট প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে এনে এ বিষয়ে পদক্ষেপ ও তদন্তের নির্দেশনা চান ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এসময় তিনি ওসির সম্পদের উৎস কী তা জানতে চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্ত করার দায়িত্ব দিতে আবেদন করেন। তখন আদালত বিষয়টি আবেদন (রিট) আকারে নিয়ে আসতে বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটের শুনানি নিয়ে ওসির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ দুদককে জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর দুদককে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দিলে তারা এ বিষয়ে অনুসন্ধান করবেন হাইকোর্টকে জানান।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ঢাকায় আটতলা বাড়ি করেছেন। বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে তার রয়েছে চারটি প্লট। বাড়ি, প্লটসহ এই বিপুল সম্পদের মালিক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম। রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।’