রাজধানীতে শ্রমিক কল্যাণের উদ্যোগে রিকশা চালকদের মাঝে মশারী বিতরণ

আপডেট: নভেম্বর ২৮, ২০২২
0

নগরবাসীকে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা করুন : এডভোকেট আতিকুর রহমান

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান বলেছেন, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গু মশার উপদ্রবে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঢাকা শহরে বহুসংখ্যক মানুষ ইতোমধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মৃত্যবরণ করেছে। নগরবাসীকে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট মহলকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি আজ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেনশন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর মুগদাতে রিকশা চালকদের মাঝে মশারী বিতরণকালে এসব কথা বলেন। ফেডারেশনের মুগদা অঞ্চলের সভাপতি হাফিজুর রহমান-এর সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারশনের মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, সহসাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু প্রমুখ।

আতিকুর রহমান বলেন, ঢাকা শহরে দুই কোটির অধিক মানুষ বসবাস করে। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের সেবায় যারা নিয়োজিত তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে প্রতি বছর বহুসংখ্যক মানুষকে অকালে মৃত্যুবরণ করতে হয়। প্রতি বছর শীত মৌসুমে নগরবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এই বছর প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অথচ সিটি কর্পোরেশন তাদের মশক নিধন কর্মসূচি নামকাওয়াস্তে পালন করছে। তারা দুর্বল ও নিম্ম মানের মশার ওষুধ ব্যবহার করছে। ফলে মশার উপদ্রব কমছে না। ফলে এই বছরও শীত শুরু হওয়ার আগে ঘরে বাইরে মানুষরা তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছে না। এইভাবে চলতে থাকলে নগরবাসী অতীতের ন্যায় ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ নানা রোনেগ আক্রান্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ শ্রমজীবী। যারা সমাজের ধনীদের মত করে মশক নিধনের জন্য ওষুধ ক্রয় করতে পারে না। ফলে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মশার উপদ্রব সহ্য করে যাচ্ছে। অন্যদিকে যারা এই শহরে বহু শ্রমিক গ্যারেজ বসবাস করে। তাদের ন্যূনতম মশারীটাও নেই। এই সকল মানুষদের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তারা একবার আক্রান্ত হলে চিকিৎসা করাবে এমন সামর্থ্যও তাদের নেই। তাই এই সকল শ্রমিকদের মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

আতিকুর রহমান বলেন, সরকার নাগরিকদের অধিকারের ব্যাপারে সচেতন না। তারা কিভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল রাখা যায় তা নিয়ে বেশি চিন্তিত। আমরা সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করুন। তাদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করুন।