‘রাজনৈতিক দলের কর্মীদের নিজস্ব বৈশ্লেষিক শক্তি ও সিদ্ধান্ত নেই ‘

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
0

মোঃআজিজুল হুদা চৌধুরী সুমন

সাধারণত রাজনৈতিক নেতাদের আদেশ ও নির্দেশে কাজ করে দলের কর্মীরা। বলতে গেলে তাদের কোন নিজস্ব বৈশ্লেষিক শক্তি ও সিদ্ধান্ত নেই। তারা সব শক্তি ও সিদ্ধান্ত পায় নেতাদের কাছ থেকে।

নেতাদের সিদ্ধান্ত ভুল হলে তারা ও ভুল করে। নেতাদের সিদ্ধান্ত ভালাে হলে তারা স্বাভাকি ভাবেই ভালাে করে। নেতাদের সিদ্ধান্ত অরাজক ও উচ্ছৃঙ্খল হলে তারা অরাজক ও উচ্ছৃঙ্খল হয়। তাই, অরাজকতা ও উচ্ছৃঙ্খলতার রাজনীতি রাজনৈতিক নেতারাই শিক্ষা দিচ্ছে।

আমরা কেউ মুখের কথায় হলেও কোন খারাপ নীতি পছন্দ করি না।আমরা আমাদের দেশে দেখছি যে, রাজনীতিতেই যতোসব উজ্জ্বলতা, অপ্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তুর অবতারণা ও অবান্তর। তাই, আমাদের দেশে রাজনীতিবিদদের কেউ ভালো চোখে দেখে না।

আমরা অহরহ রাজনীতিবিদদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন,গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা,গণজাগরণ সৃষ্টি ইত্যাদির কথা শুনি।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে বিদ্বেষ,হিংসা,ঈর্ষা,আইনের পরিপন্থী কার্যকলাপ, স্বার্থান্ধতা ইত্যাদি বুঝায় না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে শোষণ শাসনের অবসান, সুবিচার সুনিশ্চিত করণ, সুষম বণ্টন, দুর্নীতি দমন,সব রকমের বৈষম্য দূরীকরণ ইত্যাদি কে বুঝায়।

গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা বলতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল, রাজনৈতিক দলগুলাের মধ্যে মারামারি-হানাহানি, যার যা খুশি বলা ও করা ইত্যাদি বুঝায় না।গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা বলতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ,নিয়ন্ত্রিত আইনশৃংখলা পরিস্থিতি, সম্মিলিত ভাবে বহিরাক্রমন থেকে দেশকে রক্ষা করা, নিজ আদর্শের ভিত্তিতে দেশের অগ্রগতির জন্যে কাজ করে যাওয়া ইত্যাদি বুঝায়।গণজাগরণ বলতে জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি, রাজনৈতিক দলগুলাের মধ্যে মারামারি-হানাহানি, একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষােদ্গার ইত্যাদি বুঝায় না।

গণজাগরণ বলতে অন্যায়বিচার ও ঘুষদুনীতির বিরুদ্ধে এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি, সুষম বণ্টন ইত্যাদির জন্য জনগণের জাগরণ বুঝায়। রাজনীতিবিদেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন,
গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণজাগরণ সৃষ্টি বলতে বাস্তবে যা বুঝায় সে আলােকে কাজ করে গেলে দেশে কোন প্রকার সংকট থাকার কথা নয়।