রাজশাহীতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন পেলেন মিনু, বুলবুল ও মিলন

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
0

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুসহ রাজশাহী বিএনপির তিন শীর্ষ নেতাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ ও এইচ এম ইলিয়াস হোসাইন তাঁদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

জামিনপ্রাপ্ত অন্য দুজন হলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন।

আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে জামিন আবেদন জানানো হয়। এ সময় অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ মাসুমসহ শতাধিক আইনজীবী আসামিপক্ষের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানির জন্য উপস্থিত ছিলেন। বিচারক ও এইচ এম ইলিয়াস হোসাইন উভয়পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে তিন আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২ মার্চ বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাসহ নির্বাচিত সরকার উৎখাতের প্রকাশ্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে বিএনপির চার নেতার বিরুদ্ধে গত ১৬ মার্চ আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুসাব্বিরুল ইসলাম। মামলায় জামিনপ্রাপ্ত তিন নেতা ছাড়াও আসামি করা হয় বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে। পাঁচ মাস পর দুলু বাদে তিন নেতা উচ্চ আদালত থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্ন্তবর্তী জামিন পান।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ মাসুম জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মতো গত ২৩ সেপ্টেম্বর মহানগর দায়রা জজ আদালতে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনপ্রাপ্ত বিএনপির তিন নেতা আত্মসমর্পণের জন্য আবেদন করলে আদালত ২৬ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন। আজ দুইপক্ষের শুনানির পর আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বিএনপির তিন নেতার অন্তবর্তীকালীন জামিন বহাল রেখেছেন বিচারক।

জামিন পাওয়ার পর আদালত চত্বর ত্যাগ করার আগে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, তারা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, এটি তারা মনে প্রাণে চান। উচ্চ আদালতের নির্দেশে তারা এ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আদালতের আদেশে তারা সন্তষ্ট। তবে এ মামলায় এখনও আত্মসমর্পণ করেননি বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।