রাবির ‘সি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

আপডেট: অক্টোবর ১০, ২০২১
0

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই ফল প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ভর্তিচ্ছুদের আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে অনলাইনে বিভাগ পছন্দক্রম পূরণ করতে হবে। ভর্তিচ্ছু কেউ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পছন্দক্রম পূরণ করতে না পারলে ‘সি’ ইউনিটে তার প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে এবং ‘সি’ ইউনিটের কোনো বিভাগে ভর্তির আর কোনো সুযোগ থাকবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পছন্দক্রম পূরণকারী ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে মেধাক্রমানুসারে প্রথম নির্বাচন তালিকা আগামী ২৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। প্রথম নির্বাচন তালিকায় নির্বাচিতদের ২৫ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে মধ্যে অবশ্যই ভর্তি হতে হবে। এ ছাড়া শূন্য আসনের জন্য অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে মেধা ও পছন্দক্রম অনুসারে ভর্তির জন্য নির্বাচন করা হবে।

এ ছাড়া যারা পরীক্ষার সময় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির জন্য বৃত্ত পূরণ করেছেন তাদের ব্যবহারিক পরীক্ষার নোটিস আগামী ১৯ অক্টোবর প্রকাশ করা হবে। তাদের ব্যবহারিক পরীক্ষা আগামী ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। বিকেএসপি সনদধারীদেরকে সনদের ছবি আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে বিষয় পছন্দক্রম পূরণের সময় ওই লিংকেই আপলোড করতে হবে।

বিভিন্ন কোটায় ভর্তির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটার ভর্তি সংক্রান্ত সাক্ষাতকার ছাত্র উপদেষ্টার দপ্তর এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটার ভর্তি সংক্রান্ত সাক্ষাতকার প্রধান চিকিৎসকের দপ্তরে অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে দপ্তর দুইটি থেকে যথাসময়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ‘সি’ ইউনিটে পোষ্য কোটার ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি পছন্দক্রম পূরণের পর ২৩ অক্টোবর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

এ ছাড়া ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (admission.ru.ac.bd) পাওয়া যাবে।

গত ৪ অক্টোবর ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এতে এক হাজার ৬১২টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদন করেন ৪৪ হাজার ১৮৮ জন। এদের মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ৩৩ হাজার ৪৪৭ জন পরীক্ষার্থী। অনুপস্থিত ছিলেন ১০ হাজার ৭৪১ জন পরীক্ষার্থী।