রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জয়ের

আপডেট: ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
0

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধান অতিথি হিসেবে গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি পঞ্চম প্রজন্মের (৫জি) মোবাইল ইন্টারনেট উদ্‌বোধনকালে এ কথা বলেন।

এ সময় সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘যখনই বাংলাদেশ দ্রুততার সঙ্গে সামনে এগিয়ে গেছে, তখনই কিছু ষড়যন্ত্রকারী দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমি অতীতেও দেখেছি, নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠে। এখন নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসছে, আর ষড়যন্ত্রকারীরাও তাদের ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে।’

জয় বলেন, বিএনপি কতিপয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এখন তাদের বিদেশি প্রভুদের কাছে দেশের বিরুদ্ধে নালিশ করছে, আর এর মধ্য দিয়েই বিএনপি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিদেশি শক্তির কাছে সহযোগিতা কামনা করছে। এই বিদেশি শক্তি কারা? এটা তারাই-যারা ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল এবং ওই শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেই আমরা আমাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি।

সতর্ক থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, যদি ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়, তাহলে বাংলাদেশ আবার পিছিয়ে পড়বে। কিন্তু, আমি বিশ্বাসী যে, আজকের বাংলাদেশ অনেক বেশি সতর্ক ও সজাগের পাশাপাশি শিক্ষিতও। যখন আমরা বড় ধরনের সাফল্যের দিকে এগিয়ে গিয়েছি, তখন কেউ আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না এবং কেউ আমাদের সামনে এগোনো রোধ করতে পারবে না।

জয় বলেন, যতদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ সব খাতে এগিয়ে যাবে… আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাব। বাংলাদেশ অবশ্যই আইসিটিসহ সকল খাতেই সামনে এগিয়ে যাবে। আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সামনে এগিয়ে যাব। আজ বাংলাদেশে ৫জি প্রযুক্তি উদ্‌বোধন করতে পেরে আমি খুব খুশি।

রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর টেলিটক পরীক্ষামূলকভাবে ছয়টি সাইটে এ পরিষেবা চালু করেছে। স্থানগুলো হলো গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, বাংলাদেশ সচিবালয়, সাভারে জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি-৩২ এবং ঢাকার শের-ই-বাংলা নগর। মার্চে স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ নিলামের পরে বেসরকারি অপারেটরেরা আগামী বছর ৫জি চালু করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

হুয়াওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেডের সহযোগিতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্যোগে বাংলাদেশ আরও ৬০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে ৫জি মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ চালু করতে যোগ দেয়। টেলিকমিউনিকেশনে, ৫জি হলো ব্রডব্যান্ড সেলুলার নেটওয়ার্কগুলোর জন্য পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তির মান যেটি সেলুলার ফোন কোম্পানিগুলো ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী স্থাপন করা শুরু হয়েছিল এবং ৪জি নেটওয়ার্কগুলোর পরিকল্পিত উত্তরসূরি, যা বেশির ভাগ বর্তমান সেলফোনগুলোতে সংযোগ প্রদান করে।

জিএসএম অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ৫জি নেটওয়র্কের ১০৭ কোটির বেশি গ্রাহক থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারসহ অন্যরা নগরীর একটি হোটেলে থেকে ‘নিউ এরা উইথ ফাইভ জি’ শিরোনামের উদ্‌বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমতুল্লাহ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহাব উদ্দিন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঝাং ঝেংজুন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের আঞ্চলিক প্রধান সাইমন লিন, বাংলাদেশ টেলিকম নিয়ন্ত্রক কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারও এতে বক্তব্য দেন। বাসস