রিমান্ডে মাওলানা ইকবালের মৃত্যু প্রমান করে লকডাউন নয় দেশে হেফাজত ডাউন চলছে — মান্না

আপডেট: মে ২২, ২০২১
0

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ভ্যাকসিন ক্রয় করার নামে কত কোটি কোটি টাকা লুট করেছেন তাঁর কিছু কিছু তথ্য মিডিয়াতে প্রকাশ হয়েছে। সরকার এখন ভয় পাচ্ছে তাদের আরো দূর্নীতি যদি প্রকাশ হয়ে যায় তবে সরকারের ক্ষমতায় থাকা কষ্ট হয়ে যাবে। তিনি বলেন, লকডাউন কি এখন কার্যত আছে? লকডাউন নাই। অনেকে বলতো লকডাউন মানে ক্রাকডাউন।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু পরিচালনায়
সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখে রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।

শনিবার (২২ মে) বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে শাহাবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মুক্তি ও নির্যাতনকারীদের বিচার এবং উপনিবেশিক অফিসিয়াল সিক্রেট এক্ট ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মান্না বলেন , আমি প্রথম দিকে লকডাউনকে বলতাম হেফাজত ডাউন। হেফাজতের একটা উইকেটতো গতকাল ডাউন হয়েছে। কোন একটা পত্রিকায় ১ম পাতায় নিউজ হয়নি। ২য় পাতায় নিউজ করেছে, ৪র্থ পাতায় নিউজ হয়েছে। কেউ ভালোভাবে পড়তেও পারেনি। একজন রাজনৈতিক নেতা, একজন ধর্মীয় নেতা জলের ভিতরে পুলিশের কাছে নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে সেই খবর ঠিক মত প্রকাশিত হয়নি।

তিনি বলেন, ওরা রোজিনা ইসলামের চুরির খবর বলতে চায়। ওরা নিজেরা চোর, ওরা ডাকাত। এদেশের মানুষের ভোট ডাকাতি করে ওরা ক্ষমতায় আছে। ওরা কি কোন বৈধ সরকার? ওরা কি নির্বাচিত সরকর? ওরা আবার কিসের চোরের বিচার করবে? ওরা নিজেরা চোর। বিচার করার ক্ষমতা ওদের নাই।

এসময় তিনি আরো বলেন, আপনারা যাতে বের হতে না পারেন, কথা বলতে না পারেন, মিছিল করতে না পরেন এজন্য সরকার এই লকডাউন দিয়েছেন। মান্না বলেন, রোজিনার বিষয় ওরা কিছুই বের করতে পারবে না। জাফর ভাইয়ের বিরুদ্ধে ওরা মাছ চুরির মামলা করেছিলো না? আমার বিরুদ্ধে ২টি বিরাট বড় বড় মামলা দিয়েছে। পাঁচ বছর কোন চার্জশীট নাই। লক্ষ লক্ষ কর্মী জেলখানায় আছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। এই সরকার শুধু ভয় দেখাতে চায়।

যেন ভয়ে আপনারা ঘর থেকে না বের হন। এসময় তিনি বলেন, রোজিনা ইসলামের উপর এতো বড় অন্যায় হওয়ার পর আমাদের প্রতিবাদে আরো বেশী সোচ্চার হওয়ার দরকার ছিলো। মান্না বলেন, করোনায় যাদের চাকুরী গেছে এই সরকার তাদের চাকুরী দিতে পারবে? তাদের কাছে সাহায্য পাঠাতে পারবে? ২০ভাগ দরিদ্র মানুষ এখন ৪২ভাগ হয়েছে। তাদের জন্য কিছু করে না। ওরা বড় বড় শিল্পপতিদের জন্য প্রণোদনা দেয়। আর প্রণোদনা পেয়ে তারা এতোই খুশি হন যে তারা শ্রমিকের বেতন দেয় না। ওরা মালিকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না। ওরা গরীব কৃষক, শ্রমিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।