রূপগঞ্জ ট্র্যাজেডি; দুই মাস পরেও উদ্ধার হচ্ছে হাড়-কঙ্কাল

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
0

মোঃআলম হোসেন রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুডস লিমিটেডের সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ আগুনের ঘটনার প্রায় দুই মাস পর তল্লাাশি চালিয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়া দুটি দেহাবশেষ (হাড় ও কঙ্কাল) উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিআইডি পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানায় আগুনে পুড়ে যাওয়া আর কোনো লাশ আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে ভবনটি তল্লাাশি করে ফায়ার সার্ভিস ও সিআইডি পুলিশ।
সিআইডির নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন বলেন, তিন শ্রমিক এখনও নিখোঁজ জানিয়ে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে আবেদন করা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় তল্লাাশি শুরু করি। চতুর্থ তলায় কিছু হাড়ের অংশ পাওয়া গেছে। এগুলো ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত ৮ জুলাই বিকেলে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকান্ডে তাৎক্ষণিকভাবে তিনজন মারা যান। পরদিন আগুন নিভিয়ে ফেলার পর ৪৯ জনের পোড়া লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এরই মধ্যে ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অগ্নিকান্ডের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে কারখানার মালিক আবুল হাসেমসহ আটজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ১৫ জুলাই মামলার তদন্তের ভার সিআইডির (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) কাছে হস্তান্তর করা হয়।