রোজার আগেই বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ৭০ পয়সা পর্যন্ত বাড়ছে

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
0

রোজার আগেই প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩৪ থেকে ৭০ পয়সা পর্যন্ত বাড়াতে যাচ্ছে সরকার বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি জানান, বিদ্যুতে ভর্তুকি থেকে বের হওয়ার জন্য দাম সমন্বয় করা হবে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিদ্যুতের এই নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিদ্যুতে বর্তমানে সরকার বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

একইভাবে গ্যাসের দামও সমন্বয় করা হবে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দাম বাড়ানো হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে গ্যাসের দাম কমানো হবে। এই সমন্বয়ও মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কার্যকর করা হবে।

এরআগে, গত রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক বেসরকারি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয় শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলেও জানান তিনি।

নসরুল হামিদ বলেন, ডলারের সাথে টাকার যে ডিফারেন্স হয়ে গেছে, এতে আমাদের প্রাইসিংয়ের ক্ষেত্রে একটা বড় পরিমাণ ডিফারেন্স হয়ে গেছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দামে।

তিনি বলেন, আমি কিন্তু বারবার একটা কথা বলে আসছি, আমরা দাম বাড়াচ্ছি না। আমরা সমন্বয় করছি। পাইকারি পর্যায়েও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। তবে ভোক্তাদের ওপর যাতে খুব বেশি প্রভাব না পড়ে, সেভাবেই বাড়ানো হবে দাম। ৩টি স্তরে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ হবে। যেখানে মাসে ২০০ ইউনিটের কম ব্যবহার করলে ইউনিট প্রতি ৩০ পয়সা, ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারকারীদের ইউনিট প্রতি ৭০ থেকে ৮০ পয়সা বাড়বে।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রতি মাসে ভোক্তাপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ করে বাড়ানো হয়। আগামী ৩ বছর ভর্তুকির চাপ সামলাতে বিদ্যুতের দাম এভাবে সমন্বয় করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৩ বার বেড়েছে। এছাড়া পাইকারি পর্যায়ে বাড়ানো হয়েছে ১২ বার। ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম পাঁচ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়, যা ওই বছরের মার্চ থেকে কার্যকর হয়।