রোজার শিক্ষাকে ধারণ করে জীবন পরিচালনা করতে হবে : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

আপডেট: এপ্রিল ২৭, ২০২৩
0

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, মাহে রমজানের অর্জিত শিক্ষাকে ধারণ করে প্রতিটি ঈমানদার ব্যক্তিকে সমগ্র জীবন পরিচালনা করতে হবে। রমজানের মাধ্যমে অর্জিত তাকওয়া তথা খোদাভীতির যথাযথ অনুশীলন ও আল্লাহর বিধান পুরোপুরি নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করা গেলে আখেরাতে সফলতা নিশ্চিত।

তিনি আজ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান-এর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী, লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, মাস্টার শফিকুল আলম প্রমুখ।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, রমজান মাসের মাধ্যমে বান্দাহ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে। যারা পবিত্র এই মাসের হক যথাযথভাবে আদায় করতে পেরেছে তারা রাইয়ান নামক দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এই দরজা দিয়ে অন্যরা কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রোজাদারদের জন্য দুইটি খুশির সময় নির্ধারণ করেছেন। একটি হলো ইফতারের সময় অন্যটি হলো আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের সময়।

তিনি বলেন, সামনে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস আসছে। বিশ্বের প্রতিটি দিবসের নামের মাধ্যমে দিবসের সারমর্ম অনুধাবন করা যায়। শ্রমিক দিবসকে মে দিবস নামে ডাকা হয়। এর মাধ্যমে মূলত শ্রমিকদের অসম্মান করা হয়। সমাজ-রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রকরা চায় না শ্রমিকরা সম্মানিত হোক। শ্রমিকদের সম্মানিত করলে তাদের শরীর জ্বলে। অথচ শ্রমিকের রক্ত ঘামে মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ ব্যবহার করে তারা দুনিয়ায় চলাফেরা করে। শ্রমিকরা যদি খাবার উৎপাদন না করে তাহলে তাদের না খেয়ে থাকতে হয়। শ্রমিকরা তাঁত না বুনলে তাদের পোশাক ছাড়া চলতে হবে। শ্রমিকরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি প্রয়োজনীয় বস্তু যোগান দিয়ে থাকে। জুতা হতে শুরু করে চোখের চশমা পর্যন্ত সবই শ্রমিকদের তৈরি করা।

তিনি আরও বলেন, ইসলাম শ্রমিকদের সম্মান প্রতিষ্ঠিত করেছে। শ্রমিকদের দেখলে রাসুল (সা.) আগে সালাম দিতেন। তাদের তিনি বুকে জড়িয়ে ধরতেন। কুঠারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হাতে চুমু খেতেন। সুতরাং আজকের দুনিয়ায় শ্রমিকদের সম্মান ফিরে পেতে চাইলে ইসলামী আদর্শের বিকল্প কিছু হতে পারে না।