রোববার থেকে শুরু হবে ‘জনগনের অভুত্থান’———-মির্জা ফখরুল

আপডেট: অক্টোবর ১১, ২০২২
0

রোববার থেকে শুরু হওয়া বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে ব্যাপক জনসমাগমের মধ্য দিয়ে ‘জনগনের অভুত্থান’ এর প্রকাশ ঘটবে বলে প্রত্যাশা করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ইসলামী ঐক্যজোট ও ডেমোক্রেটিক লীগের সাথে সংলাপের পর সংবাদ ব্রিফিঙে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘‘ আমাদের প্রত্যাশা জনগনের একটা অভ্যুত্থান হবে এই সমাবেশগুলোর মধ্য দিয়ে জনগনকে সম্পৃক্ত করে। জনগন আসবে এসব সমাবেশ।”

‘‘ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিযে আমরা এই সরকারের পতন ঘটাবো।”

বুধবার চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিএনপি ৯টি বিভাগে গণসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে। যার প্রথমটি বুধবার চট্টগ্রামে হবে।

৪টি সমাবেশের পর বিভাগীয় গণসমাবেশের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

দেশের ৯টি বিভাগে গণসমাবেশে অনুষ্ঠানের পর তারা ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।

বুধবার সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

অন্য সমাবেশগুলো হচ্ছে: ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ, ২২ অক্টোবর খুলনা, ২৯ অক্টোবর রংপুরে, ৫ নভেম্বর বরিশাল, ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী ও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় হবে মহাসমাবেশ।

গণবিরোধী কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার কর্তৃক চাল, ডাল, জ্বালানি তেল, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি, চলমান আন্দোলনে ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম, নারায়নগঞ্জে শাওন, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন ও যশোরে আব্দুল আলিম হত্যা প্রতিবাদে বিভাগীয় শহরে এই কর্মসূচি হচ্ছে।

‘দুই দলের সঙ্গে সংলাপ’

২০ দলীয় জোটের দুই শরিকের সাথে সংলাপের বিষয়টি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আমরা এই অর্বিাচিত, গণতন্ত্রহরনকারী মানবাধিকার, হরনকারী লুটেরা সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বেশ কিছুদিন ধরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছি। ইতিমধ্যে একদফা সংলাপ শেষ করেছি। আজকে দ্বিতীয় দফার সংলাপ করছি। এখানে আমরা যুগপত আন্দোলনের মূল দাবিগুলো নিয়ে কথা বলছি।”

‘‘ ইতিমধ্যে আমরা ১১টি দলের সাথে কথা বলেছি। আমরা আমরা ইসলামী ঐক্যজোট ও ডেমোক্রেটিক লীগের সঙ্গে আলোচনা করেছি।আমরা একমত হয়েছি যে, এই সরকারের বিরুদ্ধে যুগপত আন্দোলন গড়ে তুলবে এবং তাদেরকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করব।

এই সংলাপে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব ও ডেমোক্রেটিক লীগের(ডিএল) সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি নিজ নিজ দলের নেতৃত্ব দেন।

ইসলামী ঐক্যজোটের অন্য সদস্যরা হলেন, আব্দুল করিম খান, সৈয়দ মোহাম্মদ আহসান, সামছুল হক, কামরুজ্জামান রোকন, আনওয়ান আনসারী, নাসির উদ্দিন, ইলিয়াস রেজা, আব্দুল কাদির ও মজিবুর রহমান।

ডিএলের প্রতিনিধি দলে ছিলেন আকবর হোসেন, খোকন চন্দ্র দাস, কাউসার আলী, ইয়াহিয়া মুন্না, মোহাম্মদ আল আমিন ও মেহতাজ আহসান।

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

দ্বিতীয় দফা সংলাপে ধারবাহিকভাবে বিএনপি মহাসচিব জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), এলডিপি, কল্যাণ পার্টি, লেবার পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, মুসলিম লীগ ও জাগপার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।