র‌্যাব-পুলিশের মতো এখন সিআইডিকেও গুম-অপহরণে নামানো হয়েছে– রিজভী

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
0
এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী

র‌্যাব-পুলিশের মতো এখন সিআইডিকেও গুম-অপহরণে নামানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী।

আজ দুপুরে নয়াপল্টন অফিসে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন , আগে শুধু শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত বাহিনী রূপে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে র‌্যাপিড এ্যকশন ব্যাটেলিয়ান-র‌্যাবকে। এদেরকে নিয়োজিত করা হয়েছে পৃথিবীর জঘন্যতম এই অপরাধ সংঘঠনে।

এর পরে রাষ্ট্রিয় আরেকটি বাহিনী গোয়েন্দা পুলিশ ও পুলিশকেও গুম-অপহরণ-বন্দুকযুদ্ধে নামানো হয় গোটা দেশে। এখন সিআইডিকেও গুম-অপহরণে নামানো হয়েছে।

এহেন পৈশাচিকতায় তাদের সাজানো গল্প একই থাকে, প্রথমে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া ,অতঃপর কখনো অনন্তকালের জন্য অন্তর্ধান-নিঁখোজ, কখনো অস্ত্র উদ্ধারের নামে ক্রসফায়ারের হত্যা আবার কখনো রাস্তার ধারে অথবা ডোবা নালা বা নদীতে লাশ পাওয়ার রোমহর্ষক নাৎসীয় বর্বরতা। অনাচার দুঃশাসন, লুটপাট, টাকা পাচার আর মেগা দুর্নীতির স্ফীতিতে বহমান রয়েছে ক্ষমতাসীনদের পরিবারবর্গ।

ইতিমধ্যে জাতিসংঘ থেকে গুম হওয়া সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ পর্যালোচনা করে জরুরি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। দুরাচার অবৈধ সরকারকে আতংক ঘিরে ফেলেছে। স্বয়ংক্রিয় ভোটের পররাষ্ট্র মন্ত্রী, স্বরাষ্ট মন্ত্রী গুম-খুন নিয়ে প্রলাপ বকছেন।

আলটপকা কথা বলায় পারঙ্গম পররাষ্ট্র মন্ত্রী দায়িত্ব এড়ানোর জন্য’ ভূমধ্যসাগরে সলিলসমাধি ‘ তত্ব হাজির করে গুম খুনের শিকার পরিবারগুলোর সাথে নির্দয় নির্লজ্জভাবে উপহাস-পরিহাস করছেন। ইতিমধ্যে গুম-খুন-অপহরণের উন্মাদ লীলার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।

নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যাবসা বানিজ্য আমদানী রফতানীতে বিরূপ প্রভাব পড়া শুরু করেছে। ক্ষন গননা চলছে নিশিরাতের সরকারের বিদায়ের। আওয়ামী দু:শাসনের ভয়ংকর শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে দেশবাসীর আসন্ন দুর্বার আন্দোলনের আশংকায় সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। তবে সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই সরকার এই মূহুর্তে পদত্যাগ না করলে মিটিং-মিছিল-স্লোগান প্রতিরোধে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে বাংলাদেশ।

আমরা সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই,গুম-অপহরণ- দুঃশাসন চালিয়ে যেভাবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন তার পরিণতি হবে ভয়ংকর। সেদিন বেশী দূরে নয় যে দিন গুম-খুন অপহরণের শিকার পরিবারগুলোর শোকার্তরা কাফনের কাপড় পরে স্বজনদের খোঁজে গনভবনের দিকে রওনা দিবে।

দেশের প্রতিটি শোকার্ত মানুষের ধারনা প্রতিটি গুমের হুকুমের প্রধান আসামী বসে আছেন গনভবনে। গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ গণতন্ত্র হত্যার বিচার এদেশেই হবে। কারণ এদের জন্য মানবতা ভয়ঙ্কর ঝুঁকির মধ্যে পরেছে।