লকডাউনও চলবে ; লঞ্চ -গাড়িও চলবে

আপডেট: মে ২৩, ২০২১
0
file photo

কোভিড-১৯ সংক্রমণ আর মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি রুখতে সারাদেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয় সাত দিনের লকডাউন। লকডাউন শেষে দুদিন বিরতির পর গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আট দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়।
সেই মেয়াদ শেষ হয় গত ২১ এপ্রিল মধ্যরাতে। তবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় লকডাউনের মেয়াদ ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে লকডাউন বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত।

করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। তবে লকডাউন বাড়লেও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে এ সময় চলাচল করতে পারবে সবধরনের গণপরিবহন। একই সঙ্গে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলবে লঞ্চ এবং ট্রেন।এছাড়া হোটেল ও রেস্তেরাতেও সীমিত পরিসরে বসে খাওয়া যাবে।

আজ রোববার (২৩ মে) বেলা ১২টার দিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

এরআগে বিধিনিষেধ আরও সাত দিন বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সুপারিশ করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। তবে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে ছিল।

এরআগে এ প্রসঙ্গে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১৮ মের পর আর কোনো আপডেট নেই। মিটিংও হয়নি। আমাদের মূল ফোকাস স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সরকারের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নেওয়া। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে বিপদ আছে।

তিনি আরও বলেন, টিকা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। আমাদের টার্গেট ১২ কোটি টিকা প্রদান। এটা নিশ্চিত করতে হবে। ঈদের সময়ের পরিস্থিতির কারণে করোনা বেড়ে যাওয়া শঙ্কাটা এখনও আছে। এই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে পুরো জুন মাসই ঝুঁকির মধ্যে আছি আমরা।

এরপর গত ৩ মে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আবারও লকডাউন বাড়িয়ে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।