লীগ নেতার সাথে বিএনপি নেতার চুক্তি

আপডেট: ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩
0

গোলাম কিবরিয়া বরগুনা :

ঘরের শত্রু বিবিষণ, এবার তেমন প্রমান মিলেছে বরগুনা-১ আসনের আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাথে টাকার বিনিময়ে বিএনপি নেতার নির্বাচনী চুক্তি গোপন অডিও ফাঁস। বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকিরের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নেতাকর্মী ও সমর্থকদেরকে তার পক্ষে ভোট দেয়ার গোপন অডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনার দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দলের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্রকারী জালাল ফকিরের বিরুদ্ধে সংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন দলপ্রেমি বিএনপি নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা এ নির্যাতন বানচালের দাবীতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন। নেতাকর্মীদের অভিযোগ আন্দোলন শুরু থেকেই আমতলী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকির দায়সারা আন্দোলন করে আসছেন। আন্দোলন জোরদার করতে আহবায়ক জালাল ফকির গত বুধবার উপজেলার সকল ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে তার এক আত্মীয়ের বাসায় ডেকে নেন। ওই বৈঠকে জালাল উদ্দিন ফকির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রস্তাব এসেছে তাকে ভোট দিলে তিনি প্রত্যেক ইউনিয়নে খরচ বাবদ এক লক্ষ টাকা করে দিবেন। এই মুুর্হুতে নেতাকর্মীদের হাতে টাকা পয়সা নেই। পদধারী ছাত্রদল, যুবদলসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে নামতে পারবে না। তবে সাধারণ কর্মী ও সমর্থকরা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে আসবে। এমন সময় বিএনপির আহবায়ক তুহিন মৃধাকে বলতে শোনা গেছে এতো অল্প টাকার জন্য কেন আন্দোলন সংগ্রাম ছেড়ে কর্মী সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে পাঠাবেন। এমন প্রশ্নে জবাবে জালাল ফকির বলেন, আমার পেটে ক্ষুধা আছে। আন্দোলন সংগ্রামে কেউ ৫০ হাজার, এক লক্ষ টাকা দিতে পারবেন? পারবেন মাত্র ৫ হাজার ১০ হাজার টাকা দিতে। ওই অডিওতে আরো বলতে শোনা গেছে কাফেরদের টাকা খাওয়া জায়েদ আছে। ৭ তারিখ নির্বাচন হলে ফোরকান মিয়া এমপি হবে। তাতে আমাদের অসুবিধা নেই।
তিনি আরো বলেন, টাকা দুই ধাপে দিবে নির্বাচনের মাঝামাঝি সময়ে অর্ধেক আর নির্বাচনের দিন বাকী অর্ধেক। ওই অডিওতে আরো শোনা গেছে, এ্যাড. জসিম ও রুস্তম ভাই আপনারা বলেন কি করবো? ১০ মিনিটের ওই অডিওতে তার অনেক গোপন রহস্য বেড়িয়ে এসেছে। এ গোপন অডিও ফাঁস হলে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দলের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্রকারী জালাল ফকিরের বিরুদ্ধে সংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে গুলিশাখালী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি অ্যাড. জসিম উদ্দিন বলেন, আন্দোলন চাঙ্গা করতে জালাল উদ্দিন ফকির সভা ডেকেছিল। শুধু আন্দোলন জোরদারের কথা হয়েছে। তবে অডিওর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবী করেন।
আমতলী উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, আন্দোলন জোরদার করতে জালাল উদ্দিন ফকির সভা ডেকেছিল। ওই সভায় তিনি আন্দোলন সংগ্রামের কথা বাদ দিয়ে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা এনে তার পক্ষে কর্মী সমর্থকদের ভোট দেয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু আমি তার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চলে এসেছি।
আমতলী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকিরের মুঠোফোনে (০১৭১৫০১৪৪৯৫) যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে যাচাই বাছাই করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।