শপথ নিয়েই করোনা মোকাবিলায় ‘প্রত্যয়ী’ রাজ-লাভলি-কাঞ্চনরা : বিজেপিকে মূর্খ বললেন চিরঞ্জিত

আপডেট: মে ৭, ২০২১
0

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গত দেড় মাসের কঠিন লড়াই শেষ আজ তাঁদের মুখে হাসি ফুটেছে। কেউ বা পাটভাঙা শাড়ি, মাথায় ফুল গুঁজে সেজে এসেছেন, আবার কাউকে বা দেখা গেল ধবধবে সাদা পাঞ্জাবীতে। বুধবার বিধানসভায় সাজো সাজো রব। তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবির মিলিয়ে রাজ্যের মানুষের প্রতি কর্তব্য পালনের জন্য শপথ নিচ্ছেন ১৪৩ জন বিধায়ক।

তালিকায় ১২জন তারকা। এর আগে কখনও বাংলায় বিধায়ক পদে একসঙ্গে এত তারকাকে শপথ নিতে দেখা গিয়েছে কিনা মনে পড়ছে না। এঁদের মধ্যে যেমন রয়েছেন চিরঞ্জিতের মতো হেভিওয়েট, তেমনই রয়েছেন রাজ চক্রবর্তী, জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিক, লাভলি মৈত্রের মতো নব্যমুখরাও।

ওদিকে তৃতীয়বার বিধায়ক হিসেবে শপথ নেওয়ার পর কেন্দ্রকে একহাত নিলেন বারাসতের জয়ী তৃণমূলপ্রার্থী চিরঞ্জিৎ (Chiranjeet)। তাঁর সপাট মন্তব্য, “কেন্দ্রের মতো মূর্খ আর কেউ নেই। ওদেরই এজেন্সি বলেছে, বাংলা নারী সুরক্ষায় প্রথম। তাই বলব, এসব না করে বাংলার মানুষদের জন্য তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন পাঠাতে।”

ব্যারাকপুরকে অর্জুন সিংয়ের দখলমুক্ত করে শান্ত করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন আগেই। শপথ নেওয়ার পরও সেই একই প্রসঙ্গ শোনা গেল ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakraborty) মুখে। তাঁর মন্তব্য, “এখন প্রথম কাজ করোনা পরিস্থিতি সামলানো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিকরা কাজ করতে জানে। আর অশান্তি হবে না। আমরা সব ঠান্ডা করে দেব। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি শান্ত হয়ে গিয়েছে।”

সোনারপুর দক্ষিণের জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী লাভলি মৈত্র (Lovely Maitra) হাঁটলেন স্মৃতির সরণীতে। অভিনেত্রীর বাবা বিধানসভায় চাকরি করতেন। এদিন শপথবাক্য পাঠ করার পর সেকথাই বললেন, “আমার জীবনে এই দিনটা আসবে কখনও ভাবিনি। আমার বাবা বিধানসভায় চাকরি করতেন।

আর আজ আমি বিধায়ক হিসাবে শপথ নিলাম এখানে। আমি ঈশ্বরের নামে শপথ করছি, যে মানুষরা আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন তাদের পাশে আমি থাকব, কাজ করব। কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে এখন নিজের কেন্দ্রতেই থাকব আমি। এই মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করাই এখন আমাদের একমাত্র কাজ।”

অন্যদিকে, উত্তরপাড়ার প্রার্থী হয়েই কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick) হুঁশিয়ারি ছুঁড়েছিলেন, “আমি বাইরে রোগা কিন্তু ভিতরে দারোগা…।” সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হিসেবে শপথ নেওয়ার পরও সেই একই মেজাজে ধরা দিলেন অভিনেতা। তাঁর মন্তব্য, “জানি না কোন দিক থেকে কী বল আসবে। তাই আগে শিখে নিই। তবে করোনা মোকাবিলাই প্রথম কাজ।”