শহীদ জেহাদ দিবসে মীর্জা ফখরুল : ‘ স্বৈরাচারের দোসর’রা এখন ক্ষমতাসীন নাৎসীদের মিত্র’

আপডেট: অক্টোবর ৯, ২০২১
0

“শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে গণতন্ত্র পূণঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অগ্রসেনানী শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ও তাঁর অম্লান স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক চিরস্মরণীয় নাম। শহীদ জেহাদ নিজেকে উৎসর্গ করেছেন গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে। তাঁর এই মহিমান্বিত আত্মদানের ফলেই স্বৈরশাহী এরশাদের পতন হয়। শুরু হয় সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা। নব্বইয়ে স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্রের বিজয়ে তাঁর অগ্রণী ভূমিকার জন্য জাতি হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি।

কিন্তু অগণতান্ত্রিক অপশক্তি নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে নেই। এখন সেই পুরনো স্বৈরাচার বর্তমান নাৎসীবাদের সাথে মিলেমিশে জনগণের নাগরিক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে জনগণকে দুঃস্বপ্নের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। স্বৈরাচারের দোসর’রা এখন ক্ষমতাসীন নাৎসীদের মিত্র।

দুর্বিনীত শাসনকে স্থায়ীত্ব দেয়ার জন্য এসময়ের বিপুল জনপ্রিয় নেত্রী ‘গণতন্ত্রের মা’ বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দী করে রাখার পর এখন নানা বিধি-নিষেধের আওতায় গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। দেশনেত্রীর ওপর এই নিপীড়ণের ঘটনায় প্রমানিত হয়-এদেশে মানবতার অস্তিত্ব চরম ঝুঁকির মধ্যে। শাসকগোষ্ঠীর চক্রান্তের কুটীল খেলায় গণতন্ত্রকে চূড়ান্তভাবে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বর্তমান দুঃসময়ে নিষ্ঠুর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে কঠিন সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করবে শহীদ জেহাদের আত্মদান। যে স্বপ্ন ও আশা নিয়ে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ সেদিন স্বৈরাচারীর বুলেট নিজের বুকে বরণ করে নিয়েছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণে রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করাই হবে আমাদের আজকের সংগ্রামের মূল লক্ষ্য। আর তাতেই শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের আত্মা শান্তি পাবে।