শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হামলা না করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের

আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২১
0

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষক সুলতান মোহাম্মেদ জাকারিয়া বিবৃতিতে বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম ও ঢাকার সহিংসতার দৃশ্য বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের আচরণের একটি পরিচিত রূপ। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার হামলার শিকার হয়েছে বিশেষ করে এই করোনা মহামারীর সময়ে’।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে ‘সমাবেশে পুলিশের গুলিতে চারজনের মৃত্যুর ঘটনা’ স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর এমন বিবৃতি দিয়েছে সংস্থাটি।

‘আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার ও সংবিধানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার আছে। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এগুলোকে সম্মান করতে হবে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষা ও বেআইনি শক্তি প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে হবে’।

অ্যামনেস্টির দাবি ওই ঘটনায় এক শ’রও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

সংস্থাটি বলছে গত ২৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিরুদ্ধে আয়োজিত সমাবেশে কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুঁড়লে অন্তত ৪০ জন আহত হয়।

২৪ মার্চ সিলেটে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কর্মসূচিতে লাঠিচার্জের ঘটনায় ২৫ জন আহত হন।

একই দিন রাজশাহীতে দশজন আহত হন।

২৩ মার্চ বিক্ষোভাকারীদের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মারধর করছে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে যাতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।

এর আগে গত বছর ডিসেম্বরে ঢাকার পুলিশ কর্তৃপক্ষ অনুমতি ছাড়া সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো।

উল্লেখ করা যেতে পারে, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলোর দেয়া তথ্যমতে শুক্রবার নরেন্দ্র মোদি বিরোধী বিক্ষোভে চট্টগ্রামে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ হয়। এসব সংঘর্ষে চট্টগ্রামে চারজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজনের মৃত্যু হয়।

এর প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আজ বিক্ষোভ এবং আগামীকাল হরতাল পালন করবে বলে জানিয়েছে।
সূত্র : বিবিসি