শাহরুখের বাড়িতে তল্লাশির প্রয়োজন নেইঃ এনসিবি তদন্তকারীরা

আপডেট: অক্টোবর ৪, ২০২১
0

ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, এনসিবি সোমবার জানিয়েছে, এখনই শাহরুখের বাড়িতে তল্লাশির প্রয়োজন নেই। তাঁরা মন্নতে যাচ্ছেন না। কারণ, তদন্তকারীরা মনে করছেন, বন্ধুবৃত্তে আরিয়ান মাদক আনত না। আনত অন্য কেউ। শাহরুখ-পুত্র শুধু খরচ দিত। তাই গোয়েন্দারা একথা মনে করছেন না যে, মন্নতে মাদক মজুত থাকতে পারে।

গোয়াগামী প্রমোদতরীতে তল্লাশি চালিয়ে রবিবারই আট জনকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। তাদের মধ্যে আরিয়ান ছাড়া রয়েছে মুনমুন ধামেচা, আরবাজ মার্চেন্ট, ইসমিত সিং, মোহক জয়সওয়াল, গোমিত চোপড়া, নুপূর সারিকা ও বিক্রান্ত চোকার। কর্মকর্তারা বলছেন, আরিয়ান ও আরবাজের বন্ধুত্ব ১৫ বছরের।

দুজনেই মাদকে আসক্ত। মাদক কেনাবেচার চক্রের সঙ্গেও এদের যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস আইনের আওতায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নিষিদ্ধ মাদক রোধ আইনের ৮ (সি), ২০ (বি), ২৭ ও ৩৫ ধারা প্রয়োগ করেছে এনসিবি।

চার বছর ধরে মাদক নিতেন, নিজেই জেরায় জানিয়েছেন আরিয়ান। তদন্তকারীরা বলছেন, দুবাই ও ব্রিটেনে থাকার সময়েও নিয়মিত মাদক নিতেন শাহরুখ-পুত্র। মুম্বই থেকে বাইরে কোথাও গেলে মাদক লুকিয়েই নিয়ে যেতেন। বিলাসবহুল পার্টিতে বন্ধুদের সঙ্গে মাদকের আসরও বসত।

গোয়াগামী প্রোমোদতরীতে নিজের লেন্সের বক্সে মাদক লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন আরিয়ান। প্রায় ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি পিল (এমডিএমএ) ও ৫ গ্রাম এমডি পাওয়া গেছে তাঁর ও তাঁর সঙ্গীদের কাছ থেকে। অফিসাররা বলছেন, মাদক লুকিয়ে রাখার অভিনব কায়দা আয়ত্ত করেছিলেন সকলে।

মহিলাদের স্যানিটারি প্যাড, অন্তর্বাসের সেলাইয়ের মধ্যে ও ওষুধের বাক্সে মাদক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এত মাদক কীভাবে ও কোথা থেকে এল তার তদন্ত করছে এনসিবি।