শুধু গণতন্ত্রই নয় দেশের সার্বভৌমত্বকেও আ’লীগ সংকটাপন্ন করে তুলেছে– তারেক রহমান

আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২২
0

২৫ জানুয়ারীকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারেক রহমান গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে বানী দিয়েছেন।

বাণীটি হুবুহু দেশ জনতা ডটকমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—

“১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার লক্ষে বহুদলীয় গণতন্ত্রের গলাটিপে হত্যা করে বহুদলীয় ব্যবস্থার স্থলে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা ‘বাকশাল’ কায়েম করে।

এই ব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে তারা জাতীয় সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে এক প্রকার গায়ের জোরেই অমানবিক মধ্যযুগীয় চতুর্থ সংশোধনী আইন পাশ করে। সব সংবাদপত্র বাতিল করে তাদের অনুগত চারটি প্রকাশনা চালু রাখার ফরমান জারি করে। দেশবাসীর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলে অর্জিত মানুষের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে তারা ভূলুন্ঠিত করে সমাজে এক ভয়াবহ নৈরাজ্যের ঘন অমানিশা ছড়িয়ে দেয়।

বহু চক্রান্তের চোরাগলি দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে ৩০শে ডিসেম্বরের মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর এখন আবারও অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার বাকশালী চেতনায় নতুন করে অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্রকে ভূগর্ভে সমাহিত করে, যা বর্তমানে ভয়াল একদলীয় দু:শাসনের আত্মপ্রকাশকে প্রণোদিত করেছে।

এদের ঐতিহ্যই হচ্ছে গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার বিপন্ন করা। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তাদের ভরাডুবির বিপদ টের পেয়ে তারা সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। হুকুমবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে আইনের শাসনের শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলা হয়েছে।

একদলীয় বর্বর শাসন দীর্ঘায়িত করার অলীক স্বপ্নে শুধু গণতন্ত্রই নয়-দেশের ঐক্য, সংহতি ও সার্বভৌমত্বকে তারা সংকটাপন্ন করে তুলতেও দ্বিধা করেনি।

বিরোধী দলের প্রতি আচরণে তারা কখনই সভ্য রীতি-নীতি অনুসরণ করেনি। কারাগার হচ্ছে এখন বিরোধী দলের ঠিকানা। দূর্বিনীত দমন-পীড়ণের মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সুতরাং নব্য বাকশালী জগদ্দল পাথরকে অপসারণ করার লক্ষ্যে জনগণ আজ দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ, আবারও কঠিন সংগ্রাামের মধ্য দিয়ে চেপেবসা গণতন্ত্রবিরোধী কর্তৃত্ববাদী শক্তিকে পরাভূত করে আমাদের রক্তস্নাত বহুদলীয় গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে।