শৈত্য প্রবাহে কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ

আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২২
0

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি,
মাঘের মাঝামাঝি সময়ে তীব্র শীতে কাবু হয়ে পরেছে উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের মানুষ। কয়েকদিন শীতের স্বাভাবিক অনুভূতি বিরাজ করার পর জেলা জুড়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। সেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় অর্ধেক কমে শুক্রবার সকাল ৯টায় ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল এবং শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে রাজারহাট বহাওয়া অফিস কর্তৃপক্ষ।

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ার মাত্রা বাড়তে থাকে, যা শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে এতে করে (শুক্রবার ও শনিবার) দুদিন ধরে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ চলমান রয়েছে। এর ফলে কনকনে ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যায়। যা আগামী সোমবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে মানুষজন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত শুরুর পরই জেলা জুড়ে নামছে শীতের পারদ। ঘন কুয়াশায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।শীত ও কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন খেটেখাওয়া, দিনমজুর সহ নিম্ন আয়ের মানুষজন। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন অনেকেই।
শীত বস্ত্রের অভাবে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়ছেন জেলার সাড়ে চার শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষ সহ শিশু ও বৃদ্ধরা। একই পরিস্থিতি নদ-নদী সংলগ্ন বাঁধে অাশ্রয় নেয়া মানুষজনেরও। শীতে গবাদি পশুগুলিকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। শীত উপেক্ষা করেই জীবন জীবিকার সন্ধানে ছুটে চলছেন শ্রমজীবী মানুষজন।
কাজের সন্ধানে শহরমুখী রিকশা শ্রমিক, ভ্যান শ্রমিক, ঘোড়ার গাড়ি চালক, দিনমজুর ও ব্যবসায়ীদের কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করেই দূর্ভোগ নিয়েই শহরে অাসতে দেখা গেছে। শীত বস্ত্রের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন চরাঞ্চল সহ বাঁধ সমুহে অাশ্রয় নেয়া মানুষজন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, জেলার নয়টি উপজেলার শীতার্তদের জন্য এক কোটি আট লাখ টাকার কম্বল ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আসা ৩৫ হাজার ৭০০ কম্বল পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আরও প্রায় ছয় হাজার সোয়েটার ও পাঁচ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
##/