শৈলকুপায় ৬ বিঘা জমির গাছ কেটে নিল আ’লীগ নেতা!

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২
0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শেখপাড়ার কুখ্যাত মাদক স¤্রাট বকুল জোয়ারদার ৬ বিঘা জমির গাছ ও ধরন্ত কলাগাছ কেটে দিয়েছে। গত সোমবার থেকে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত উপজেলার শেখপাড়া গ্রামে এই তান্ডব চালানো হয়। পুলিশের খাতায় মোস্ট ওয়ান্ডেট বকুল শেখপাড়া বাজারের তক্কেল জোয়ারদারের ছেলে। সে নিজেকে ইউনিয়ন আওয়ামলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।

বংশ পরস্পরায় ৯৬ বছর ধরে দখলে থাকা জমির মালিকরা জানান, শেখপাড়া গ্রামের মৃত আকবর আলী মোল্লার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি ফরহাদ মোল্লা, শহিদুল ইসলাম ও সেলিম মোল্লাসহ অন্যান্য ওয়ারিশগণ ১৯২৬ সাল থেকে ভোগদখল করে আসছিল। হঠাৎ করেই ৩১ জানুয়ারী থেকে একই গ্রামের মাদ্রক স¤্রাট বকুল জোয়ারদার জমি নিজেদের দাবী করে লোকজন নিয়ে জোরপুর্বক গাছ কাটা শুরু করে। ২ দিনে ৬ বিঘা জমির ছোট বড় ২’শ ২৫টি মেহগনি, শিশু, ইপিলইপিল গাছ ও ১ হাজার ধরন্ত কলাগাছ কেটে দেয়। তারপর তারা কাটা গাছ নিয়ে যায়।

এতে প্রতিপক্ষের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে গাছ কাটা বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। জমির প্রকৃত মালিক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের বড় বড় গাছ জোরপুর্বক বকুল জোয়ার্দ্দার কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা বাঁধা দিলে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমাদের মারধর করতে আসছে। ফরহাদ মোল্লা বলেন, আমার ১ হাজার কলাগাছ কেটে নিয়ে গেছে বকুল জোয়ারদার।

জমির কাগজপত্র থাকার পরও আমার কোন সুবিচার পাচ্ছি না। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বকুল জোয়ারদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ব্যস্ত আছি পরে কথা বলব। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি (তদন্ত) মহসীন হোসেন বলেন, আমি অভিযোগ পেয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।