শ্রমজীবী মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে : এডভোকেট আতিকুর রহমান

আপডেট: অক্টোবর ১৩, ২০২৩
0

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ, ঠুনকো অজুহাতে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন, গার্মেন্টস শিল্প রক্ষা এবং ভাত ও ভোটের অধিকার রক্ষার দাবিতে শ্রমিক ঐক্য ফ্রন্টের শ্রমিক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

শ্রমিক ঐক্য ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান বলেছেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। বিগত দুটি নির্বাচনে শ্রমজীবী মানুষরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক ঐক্য ফ্রন্টের আয়োজনে ৫ দফা দাবিতে আয়োজিত মিছিল উত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শ্রমিক নেতা শফিকুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন রিক্সা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. মুহিব্বুল্লাহ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম, এইচ এম আতিকুর রহমান ও শাহ আজিজ সুজন প্রমুখ।

এডভোকেট আতিকুর রহমান বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সরকার লাগাম টানতে পারছে না। সরকার ব্যর্থ হয়েছে। স্বল্প আয়ের মানুষ আজ দিশেহারা। তারা আজ অনাহারে-অর্ধাহারে আছে। কিন্তু সরকার দীর্ঘ সময়েও বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থ হয়েছে। গার্মেন্টসে প্রতিনিয়ত শ্রমিক ছাঁটাই হচ্ছে। সরকার ছাঁটাই বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। দেশের সকল শ্রমিক সংগঠন বর্তমান বাস্তবতায় ন্যূনতম মজুরি কাঠামো গঠন করার জোর দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার এতেও কর্ণপাত করছে না। তারা ন্যূনতম মজুরি নিয়ে গড়িমসি করছে। আমরা অবিলম্বে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি গঠনের দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ মানুষ একদলীয় শাসনে পিষ্ট হয়ে গেছে। দেশে আজকে গণতন্ত্র, মানবাধিকার নেই। আজকে দেশে শ্রমিকের অধিকার নেই। বর্তমান সরকার গণতন্ত্র হরণ করে শ্রমজীবী মানুষের সকল অধিকার হরণ করে নিয়েছে। শ্রমজীবী মানুষ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। অবিলম্বে আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শ্রমজীবী মানুষ ভোট দিতে চায়। তারা গণতন্ত্র ফেরত চায়। তারা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট দেওয়ার সুযোগ পায় নাই।

অবিলম্বে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। বর্তমান সরকার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের অবশ্যই বিদায় নিতে হবে। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ খারাপ হোক আমরা চাই না। আমরা গণতন্ত্র চাই। গণতান্ত্রিক সরকার চাই। যারা শ্রমজীবী মানুষের ভোটের ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করবে। যারা শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করবে। বর্তমান সরকারের কোনো জবাবদিহি নেই। দায়বদ্ধতা নেই। আমরা জবাবদিহিমূলক সরকার চাই। দায়বদ্ধতা মুক্ত সরকারকে শ্রমজীবী মানুষ আর একদিনও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। শ্রমিকের ভাত ও ভোটের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আমাদের সংগ্রাম চলছে এবং চলবে। আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে শ্রমজীবী মানুষরা অতীতের ন্যায় সংগ্রামী ভ‚মিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।