শ্রীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় ফের ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট

আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২১
0
ক্যাপশনঃ গাজীপুর ঃ শ্রীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। ###

গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরে শ্রীপুরের এক কেমিক্যাল কারখানায় ফের ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সন্ধ্যায় শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামে এএসএম কেমিক্যাল লিমিটেড নামের কারখানায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের কর্মীরা কাজ করছেন।

প্রায় সোয়া চার ঘন্টা পর রাত ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও পুরোপুরি নেভাতে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছিল তারা। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কারখানার সিনিয়র ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) রেজাউল করিম, ফায়ার সার্ভিস, শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, শ্রীপুরের এএসএম কেমিক্যাল ইন্ডাষ্টিজ লিমিটেড নামের কারখানায় বুধবার দুপুর দুইটা থেকে রাত ১০টার শিফটের কাজ চলছিল। কারখানার বিভিন্ন প্লান্টে ৪০ থেকে ৫০ ফুট উচ্চতার ৯টি বিশাল আকৃতির কেমিক্যালের ট্যাংক রয়েছে।

এসব ট্যাংকে প্যারিফাইন জাতীয় তরল দাহ্য পদার্থ রাখাছিল। এ কারখানায় প্রায় ৩শ’ শ্রমিক রয়েছে। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কেমিক্যাল ভর্তি ট্যাংকের পার্শ্ববর্তী এসবিপি প্লান্টে (ব্লিচিং পাউডার প্লান্ট) থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। মুহুর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা কেমিক্যালের ওইসব ট্যাংকে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এসময় কারখানার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, প্লান্টে থাকা মেশিনপত্রসহ কেমিক্যাল সামগ্রী বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। কারখানার কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। আগুনের ভয়াবহতা দেখে কারখানার পার্শ্ববর্তী ভবনগুলোর বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে। কারখানার কর্মীরাও দ্রুত নিরাপদস্থানে সরে যেতে হুড়োহুড়ি শুরু করে।

ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ মিয়া জানান, খবর পেয়ে প্রথমে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের পার্শ্ববর্তী গাজীপুর ও ভালুকা ষ্টেশনসহ কয়েকটি ষ্টেশনের আরও ১০টি ইউনিট পর্যায়ক্রমে ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। প্রায় সোয়া চার ঘন্টা পর রাত ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে পুরোপুরি নেভাতে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি একই কারখানায় হাইড্রোজেন পার অক্সাইড প্লান্টে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় চারজন নিহত এবয় বেশ কয়েকজন দগ্ধ ও আহত হয়।