সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা, হামলা এই সরকার আর সিন্ডিকেটের ভেতর কোন ভেদ নাই — জোনায়েদ সাকি

আপডেট: মার্চ ৩, ২০২২
0

আজ ৩ মার্চ ২০২২, বৃহস্পতিবার সকালে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে সকাল ১১টা ৩০ এ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ভোজ্যতেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, গ্যাস পানি বিদ্যুতের প্রস্তাবিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। বক্তব্য রাখেন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখ্তার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, কেন্দ্রীয় সদস্য আলিফ দেওয়ান এবং মিজানুর রহমান মোল্লা।
প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ শেষ করে মিছিল নিয়ে জিরো পয়েন্টে পুলিশের বাধার মুখে পরে এবং পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কিতে অন্তত ১৫/২০ জন আহাত হয়।
সমাবেশে প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আজকের এই সমাবেশে বাংলাদেশের লক্ষ কোটি মানুষের হৃদয়ের কথা উচ্চারিত হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা বলে মানুষের আয় বেড়েছে, ফলে দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষ নাকি চিন্তিত নয়। তিনি বলেন, এই সরকারের মন্ত্রীরা শুধু মিথ্যাবাদিই নয় বরং মানুষের জীবন, কষ্ট ও দুর্দশা নিয়ে এরা তামাশা ও তাচ্ছিল্য করে। এর প্রতিদান তারা পাবে। মানুষের এই বাঁচার সংগ্রামই সরকারের ভিত নাড়িয়ে দেবে।
তিনি আরো বলেন, সয়াবিন তেলের দাম ১ বছরে কোথা থেকে কোথায় যেয়ে ঠেকেছে। বিক্রেতারাই নির্ধারণ করে দেন আজ তেলের দাম ১০ টাকা বাড়বে না ১৫ টাকা বাড়বে। সরকারের অপেক্ষা করেন না। কারণ তারা জানেন সরকার তাদের পেছনেই আছে। একইভাবে চাল ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন সিন্ডিকেটই নামি বাজার মূল্য নির্ধারণ করে, তার কিছু করার নাই। তাহলে আপনারা আছেন কেন? প্রশ্ন করেন জোনায়েদ সাকি। গভীরভাবে দেখলে বোঝা যায় এই সরকার আর সিন্ডিকেটের ভেতর কোন ভেদ নাই। সিন্ডিকেরে মাধ্যমে যে লুণ্ঠন হয় সরকারের মন্ত্রীরা সরাসরি তার বখরা পান। এভাবেই তারা জনগণের পকেট কাটে। বছর বছর বিদ্যুতের দাম বাড়ে কেন? ৫ বছরের কথা বলে ১৩ বছর ধরে কুইক রেন্টাল পাওয়াার প্ল্যান্ট পালা হচ্ছে। বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্যের নামে জনগণের পকেটের পয়সা ভর্তূকি হিসেবে দেয়া হচ্ছে সরকারের পছন্দের লোকদের। এটাই হলো সরকারি মদদে বিদ্যুৎ খাতের সিন্ডিকেট।
তিনি আরো বলেন, করোনায় আরো ৩ কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্য সীমার নিচে নেমে গেছে। আমরা হিসেব করে দেখেছি। আড়াই কোটি পরিবারকে, ৪ জন করে ধরলে ১০ কোটি মানুষকে সরাসরি নগদ অর্থ সহায়তা দিতে হবে, রেশনের আওতায় আনতে হবে, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই গণবিরোধী সরকার সে পথে না হেঁটে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে মানুষকে আরো বিপদের মধ্যে ফেলছে। এই সরকারকে উচ্ছেদ না করে মানুষের কল্যান নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, দুর্নীতি লুটপাট ও ভোট চোর সরকারের কোন নৈতিক সাহস নাই। তারা বাংলাদেশে বেশিদিন টিকতে পারবেনা। পুলিশ ও গুন্ডা দিয়ে গদিতে টিকে থাকা যাবেনা। গণঅভ্যুত্থানের ভেতর দিয়েই এই সরকারের পতন হবে। এমন লড়াই গড়ে তুলতে হবে যাতে কোন সরকারই আর ক্ষমতায় যেয়ে ক্ষমতাকে জমিদারি বানাতে না পারে। তিনি বলেন এবারের লড়াই সরকার পতনের এবং ভোটাধিার প্রতিষ্ঠার লড়াই। বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে আর কোনভাবেই মানুষের অধিকার অর্জিত হতে পারবে না।