সরকারবিরোধী প্রচারানার অভিযোগে ডিজিটাল আইনে মামলায় এবারো জামিন পায়নি জবি শিক্ষার্থী খাদিজা

আপডেট: জুলাই ১০, ২০২৩
0

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) দুই মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার জামিন শুনানি আরো চার মাসের জন্য মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে খাদিজার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দু’টি মামলায় খাদিজাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। জামিন চ্যালেঞ্জ করে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে।

শুনানির সময় খাদিজার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া যুক্তি দেন যে তার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে অতিথিদের মতামতের জন্য তিনি দায়ী নন।

এর জবাবে আপিল বিভাগ বলেন, যে খাদিজা একজন স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে তার টক শো প্রোগ্রামে প্রচারিত মতামতের জন্য তিনি।

২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় সরকারবিরোধী প্রচারণা এবং বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে দু’টি মামলা করে পুলিশ।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে করা দু’টি মামলায় অভিযোগ ছিল একই রকম।

এছাড়া পুলিশ খাদিজাকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ এ গ্রেফতার করে। তারপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, দেশের বৈধ প্রশাসনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর প্রচারণার ষড়যন্ত্র করেছিলেন খাদিজা ও দেলোয়ার।

বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, বিদ্বেষ ও বিভাজন তৈরি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার লক্ষ্যে ছিল তাদের।

২০২০ সালে যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল তখন খাদিজার বয়স ছিল ১৭। কিন্তু মামলা দায়েরের পর তাকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

আইনজীবী বলেন, কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও খাদিজার জামিনের আবেদন ঢাকার একটি আদালত বারবার খারিজ করে দিয়েছে। সূত্র : ইউএনবি