সরকারের পদত্যাগের স্লোগানে উত্তাল মগবাজার থেকে আরামবাগ-মালিবাগ

আপডেট: ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
0

সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দাবিতে বিএনপির পূর্বঘোষিত গণমিছিলে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে মিছিল সামনের দিকে এগুতে হিমশিম খাচ্ছে। 

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ২ টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিকাল তিনটায় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে গণমিছিল শুরু হয়। 

মিছিলটি কাকরাইল মোড়, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক হয়ে মগবাজার শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে মিছিলের সামনের ভাগ মগবাজার পৌঁছে গেলেও শেষভাগের নেতাকর্মীরা সামনের দিকে এগুতে পারছেন না। ফলে তারা ফকিরাপুল মোড়ে স্লোগান দিতে থাকেন। 

অপরদিকে পূর্বঘোষিত জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পুরানা পল্টন ও বায়তুল মোকাররম এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) জুমার আগ থেকেই পুরো এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুরানা পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড় ও জিরো পয়েন্টে পুলিশ সদস্যদের তৎপরতা দেখা গেছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলকামান, প্রিজন ভ্যান, সাঁজোয়া যান।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে আমরা নিরাপত্তা বলয় রেখেছি জনগণের যেন ভোগান্তি না হয়। ঢাকা শহরে যেহেতু জামায়াতে ইসলামকে গণমিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি, তারা কোথায় করবে আমরা তা জানি না।

জনদুর্ভোগ যেন না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করেছি। আগামীকাল থার্টি ফাস্ট নাইট আর আজ রাজনৈতিক বিভিন্ন দলের কর্মসূচি বিবেচনায় অন্য কোনো ঘটনা যেন না ঘটতে পারে, সে লক্ষ্যে আমরা পুলিশ মোতায়েন করেছি।

যেহেতু জামায়াতকে গণমিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি তাই তারা মিছিল করতে চাইলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে সকাল থেকেই বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। পড়ে নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই জুমআর নামাজ আদায় করেন।

কর্মসূচির সমন্বয়কের দায়িত্বে রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন। মিছিলের মূল ট্রাকে রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতও আছেন ট্রাকে।

মিছিলে আরো অংশ নিয়েছেন দলের ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান,শামসুজ্জামান দুদু, আমানউল্লাহ আমান,সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বেনজীর আহমেদ টিটো, তাইফুল ইসলাম টিপু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, নবীউল্লাহ নবী, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, হাবিবুর রশীদ হাবিব, বেলাল আহমেদ, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, হায়দার আলী লেলিন,ফজলুর রহমান খোকন,ইকবাল হোসেন শ্যামল।

অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান,সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না,কি সব দলের কৃষিবিদ হাসান রাফির তুহিন,সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল,ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ,সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল,স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জেলানী,রাজিব আহসান নাজমুল হাসান প্রমুক অংশ নিয়েছেন।বিএনপির সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনকে মিছিলের অংশ নিতে স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি সংগঠন তাদের নির্ধারিত স্থানে অবস্থান নেয়।

এদিকে বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এবং এর আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে।