সরকারের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জামায়াতের

আপডেট: জুলাই ৬, ২০২৩
0

সরকারের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

বুধবার (৫ জুলাই) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের রামপুরা-বাড্ডা জোনের উদ্যোগে এক ঈদ পুনর্মিলনী ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, দেশে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের মধ্যে নাভিশ্বাস শুরু হয়েছে। লাগামহীনভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের পক্ষে জীবিকা নির্বাহ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। অনেকে অনাহারে ও অর্ধাহারে জীবন যাপন করছেন।

এটিএম মা’ছুম বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার বলতে কিছুই নেই। জামায়াতে ইসলামীর, আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও আলেম-ওলামাদের দীর্ঘদিন যাবত কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করা সত্ত্বেও নেতৃবৃন্দকে মুক্তি না দিয়ে নতুন নতুন মামলা দিয়ে আটকে দেয় হচ্ছে। এটি কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডের মধ্যে পড়ে না। বর্তমান এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে নেতৃবৃন্দকে মুক্ত করা হবে ইনশাআল্লাহ।

ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহাকারী সেক্রেটারী জনাব নাজিম উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির আব্দুর রহমান মুসা এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মু. রেজাউল করিম। অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন রামপুরা-বাড্ডা জোনের সহকারী পরিচালক মো: হেদায়েতুল্লাহসহ বিভিন্ন থানার আমির ও সেক্রেটারিরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মা’ছুম বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা হযরত ইব্রাহিম ও ইসমাইল আ:-এর অগ্নি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার এক উজ্জ্বল নিদর্শন। পিতা-পুত্রের অপরিসীম আত্ম-ত্যাগের কাহিনী তাদেরকে স্মরণীয় করে রেখেছে। মহান আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের জন্য তারা যে ত্যাগ ও কুরবানির নজরানা পেশ করে গেছেন আমাদেরকে তা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নির্দেশ পালনের জন্য হযরত ইব্রাহিম আ: মরুভূমির জনমানবহীন প্রান্তরে স্ত্রী-পুত্রকে রেখে আসেন। ইব্রাহিম আ:-এর স্ত্রী হাজেরাও মহান আল্লাহর নির্দেশের প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য প্রকাশ করেন। যা কেবল সম্ভব হয়েছিল মহান রবের প্রতি তাদের অগাধ বিশ্বাসের কারণে। ইব্রাহিম ও ইসমাইল আ:-এর ত্যাগ ও কুরবানি থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদেরকে দাওয়াতি কাজে আরো ব্যাপকভাবে আত্মনিয়োগ করতে হবে। দেশের প্রতিটি প্রান্তরে, প্রতিটি ঘরে ঘরে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। দ্বীনের প্রয়োজনে নিজের জান-মালের সর্বোচ্চ কুরবানি দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।

তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অংশগ্রহণ এবং সকল জুলুম, শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করার জন্য দেশবাসীসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

পরিশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দিন মোল্লা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও মোবারকবাদ জানিয়ে প্রোগ্রামের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি