সরকার টিকে থাকতে বিরোধীদলের ওপর পাইকারী হারে মামলা -হামলা চালাচ্ছে—মীর্জা ফখরুল

আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২২
0

দেশব্যাপী বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে গতকাল এবং আজ টাঙ্গাইল, জামালপুরের মাদারগঞ্জ, নোয়াখালী জেলার সেনবাগ ও সদর উপজেলা, খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা ও মানিকছড়ি উপজেলায় নেতাকর্মীদের ওপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলা, তাদেরকে গুরুতর আহত করা ও গ্রেফতারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “সরকারের এখন টিকে থাকার একমাত্র উপায় হলো বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও পাইকারী হারে তাদেরকে গ্রেফতার। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী নির্যাতন-নিপীড়ণের মাধ্যমে দেশবাসীসহ বিএনপি ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকে আতঙ্কিত ও ভীত-সন্ত্রস্ত করে ভয়ঙ্কর দুঃশাসন কায়েম রেখেছে। দেশকে এখন পুরোপুরি বৃহত্তর কারাগার বানানো হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সরকারদলীয় ক্যাডার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে হামলা, গ্রেফতার ও নির্যাতন নিপীড়ণ চালানোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে বিএনপি-কে ধ্বংস করে প্রতিবাদী আওয়াজকে নিস্তব্ধ করা, যাতে অপশাসন দীর্ঘায়িত হয়।

টাঙ্গাইলে বিএনপি’র র্কমসূচীতে আওয়ামী লীগের হামলায় গুরুতর আহত যুবদলের ইউনিয়ন নেতা ইসমাইল হোসনে ও মোহাম্মদ মামুন টাংগাইল সদর হাসপাতালে মূমুর্ষ অবস্থায় ভর্তি আছে। আরো আহত হয়েছে সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা বিএনপি মুমিনুল হক নিকসন, যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আশরাফ পহেলী, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সালে মোহাম্মদ ইথেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলামসহ ১৫-২০ জন।

মাদারগঞ্জ উপজলো বিএনপ’রি আহ্বায়ক এড মনজুর কাদের বাবুল খাঁন, পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক হাজী আব্দুল গফুরসহ ৩৮ জন নেতা র্কমীর বিরুদ্ধে মামলা। দুইজন গ্রেফতার।

নোয়াখালী জেলায় উপজেলা ও ইউনিয়ন কর্মসূচি পালনকালে সেনবাগ উপজলো ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাত নম্বর মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রুবেলকে গতকাল রাত্রে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নোয়াখালী জেলায় কর্মসূচি পালনকালে গ্রেফতার করা হয়েছে-বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভিপি জসিমউদদীন, মোঃ রায়হান, ডা. মাঈন উদ্দীন, মাজদেুল কবির মুন্না, রিপন, বেলাল হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, মোঃ আবদুল, নুরুল আমিন বেচু, ফখরুল ইসলাম, বাকিবিল্লাহ তুষার, মোকাররম হোসেন, মোঃ মমিন উল্যা, মোঃ সাইফুল, মোঃ রাহাত, মোঃ ফারুক, আবুল হোসেন, একরাম হোসেন, আবদুল কাদের শুভ, আবদুল কাদের, মোঃ সোহেল, মোঃ সাকিব, মোঃ সাইফুল, মোঃ বাদশা, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ মারুফ, মোঃ রাকিব, আতিকুর রহমান রুমন, আবুল কালাম, কামরুল হাসান, মোঃ জামাল উদ্দিন, মোঃ সোহাগ, মোঃ নোমান, এ এইচ বাহাদুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলাধীন বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভায় আওয়ামী গুন্ডারা হামলা চালিয়ে শফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম দুলালসহ আরো ১০/১২ জনকে মারাত্মক ভাবে আহত করে। তারা বর্তমানে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাছাড়াও গতকাল ২৩ আগষ্ট মানিকছড়ি উপজলো বিএনপ’রি কাউন্সিলের প্যান্ডেল ভেঙ্গে দেয় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এবং আমির হোসেন, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল হালীমকে মারাত্মকভাবে আহত করে। তারা এখন মানিকছড়ি উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এসব ভয়াবহ কর্মকান্ড বর্তমান সরকারের চলমান দুঃশাসনের খন্ডচিত্র মাত্র।
আমি আওয়ামী সরকারের দ্বারা সংঘটিত উপরোক্ত ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।”