সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে ‘বিএনপি দমন কমিশন’ এ পরিণত করেছে— খন্দকার মোশাররফ

আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২৩
0

সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে ‘বিএনপি দমন কমিশন’ এ পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

 

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের মালামাল ক্রোকের আদেশের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই অভিযোগ করেন।

 

তিনি বলেন, ‘‘ প্রতিহিংসাপরায়ণ এই সরকার তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট-কাল্পনিক অভিযোগে মামলা ও রায় দিয়ে গোয়েবলসের মতো মিথ্যাচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতা-কর্মী-জনসাধারণের মনোবল বিনষ্ট করতে সরকারের ইঙ্গিতে এই আদেশ দেয়া হয়েছে।”

 

‘‘ দুর্নীতি দমন কমিশন যেন আজ বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত করেছে। ফ্যাসিস্ট সরকার আবারও নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে। আর এই চক্রান্তের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে দুদক।”

 

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘‘ তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে তা অবান্তর, ভিত্তিহীন, অমূলক। যে আদেশ দেয়া হয়েছে তা প্রতিহিংসামূলক ফরমায়েশী।”

 

‘‘ বিএনপি এই সরকারের হীন এই কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে এবং অবিলম্বে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, ফরমায়েশি আদেশ ও রায় বাতিল করার দাবী জানাচ্ছে।”

 

তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, ‘‘আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, যে সকল সম্পত্তির মালিক তারেক রহমান নন, কোন দলিলে বা চুক্তিতে যেখানে তারেক রহমানের নাম, স্বাক্ষর বা সংশ্লিষ্টতা নাই- তাঁকে সেসব সম্পত্তির গায়েবী মালিক বানিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি তারেক রহমান এবং ডা. জোবাইদা রহমানের কর পরিশোধকৃত সম্পদ নিয়েও কাল্পনিক অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

 

‘‘ আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, এসব মামলা, আদেশ, রায় দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত বা ডা. জোবাইদা রহমানকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারবে না এবং গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় চলমান আন্দোলন বিভ্রান্ত বা নস্যাত করতে পারবে না।”

 

গত ৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান দুদকের মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর জোবাইদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।

 

 

‘চলমান দুর্নীতি দুদকের চোখে পড়ে না’

 

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘‘ সরকারের নির্মম প্রতিহিংসায় দেশ আজ পুড়ে ছাড়খার হয়ে যাচ্ছে। দেশে বিরাজমান সীমাহীন দুর্নীতির মহাতান্ডব দুদকের চোখে পড়ে না। ২০০০ সালে স্বাধীন বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবার কলঙ্কের তিলক ততকালীন আওয়ামী সরকার লাগিয়েছিল। বর্তমানে তাদের সরকারের  ছত্রছায়ায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের  অনুগত ব্যবসায়ী এবং নেতাকর্মীরা দুর্নীতির