সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে : মির্জা ফখরুল

আপডেট: এপ্রিল ৯, ২০২৩
0

সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। এ পরিবর্তনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

রোববার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজনীতিক, কূটনীতিক, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকদের সম্মানে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি)।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রমজানকে সংযমের মাস হিসেবেই জানি আমরা। কিন্তু এই মাসেও সরকার সংযম দেখাতে পারেনি। গতকাল সারাদেশে আমাদের যে কর্মসূচি ছিল সেখানে হামলা-ভাংচুর চালানো হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দানবীয় সরকারের হাত থেকে রক্ষা করতে আমাদেরকে এক কাতারে সামিল হতে হবে।’

সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনকে আরো বেগবান করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। আমরা এখানে অনেকেই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও আহ্বান জানাতে চাই- দেশকে রক্ষার জন্য, মানুষসের অধিকার রক্ষার জন্য, ভাতের অধিকার রক্ষার জন্য আরো দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি সেই জন্য আসুন সকলে ঐক্যবদ্ধ হই।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র নেই বলেই কারো অধিকার নেই। এ সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে টিকে থাকার জন্য অনেকগুলো আইন তৈরি করেছে। তারা সংবিধানের মৌলিক জায়গাগুলো পরিবর্তন করে ফেলেছে।’

সভাপতির বক্তব্যে গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবাই আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। দেশকে মহাদুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করি।’

জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘এই জুলুমবাজ সরকারের হাত থেকে বাঁচতে হলে রুখে দাঁড়াতে হবে। এদেরকে বিদায় করতে হবে। এ সরকার জনগণের বিরুদ্ধে, মানুষের বিরুদ্ধে। তাই এদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দেশে ভয়াবহ অরাজকতা চলছে। মানুষে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি ছাড়া এই সরকার কিছুই করতে পারেনি।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এই সরকার অর্ধেক আছে, বাকি অর্ধেক ঈদের পর আন্দোলন গড়ে তুলে বিদায় করতে হবে।’

ইফতার মাহফিলে আরো অংশ নেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, জাতীয় পার্টি একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান, জাগপার সভাপতি লুৎফুর রহমান, এবি পার্টির আহ্বায়ক এস এম সোলাইমান চৌধুরী, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরীসহ গণফোরাম ও বিপিপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা।