সর্বজনীন পেনশন স্কিম এ অর্থবছরেই চালু করা সম্ভব : অর্থমন্ত্রী

আপডেট: জুন ২, ২০২৩
0

২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকেই বাংলাদেশে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে আমি সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কাজটি এরই মধ্যে অনেকটাই এগিয়ে এনেছি। জাতীয় সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩’ পাস হয়েছে। আশা করছি, নতুন অর্থবছর থেকেই সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা সম্ভব হবে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) প্রস্তাবিত বাজেট পেশকালে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রস্তাবিত স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের অধিক বয়স্ক একজন সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর পর্যন্ত চাঁদা দেয়ার সাপেক্ষে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এতে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশী নাগরিকরাও অংশ নিতে পারবেন। পেনশনে থাকাকালে ৭৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করলে পেনশনারের নমিনি পেনশনারের ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্য হবেন। চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছরের চাঁদা দেয়ার আগে মৃত্যুবরণ করলে জমা করা অর্থ মুনাফাসহ নমিনিকে ফেরত দেয়া হবে। চাঁদাদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমা করা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ হিসেবে উত্তোলন করা যাবে। তিনি আরো বলেন, পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে এবং এর বিপরীতে কর রেয়াত সুবিধা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে।

রেমিট্যান্স আসার গতি সন্তোষজনক নয়
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, দক্ষতার ঘাটতির কারণে বিদেশগামী কর্মীর সংখ্যানুপাতে রেমিট্যান্স আহরণের গতি ততটা সন্তোষজনক নয়। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কর্মীদের প্রাক-বহির্গমন অবহিতকরণসহ বিভিন্ন কারিগরি কোর্সে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে; টিটিসিগুলোতে জাপানি, ইংরেজি, কোরিয়ান, চাইনিজ ভাষা শিক্ষা কোর্স চালু করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণের গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, স্কিলস রিকগনিশন, দক্ষ পেশায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকরণ, স্থানীয় প্রশিক্ষণ সনদের আন্তর্জাতিক সনদায়ন নিশ্চিতকরণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের ভাষায় দক্ষতা অর্জনসহ নানাবিধ কার্যক্রম আমরা অব্যাহত রেখেছি।

অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্য আরো বলেন, প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। এমনকি কোভিডকালীন দেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, যা ওই সময়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

বর্তমানে বিশ্বের ১৭৬টি দেশে মোট এক কোটি ৪৯ লাখের অধিক কর্মী কর্মরত রয়েছেন। আমাদের সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বিগত এক যুগে পেশাজীবী, দক্ষ, আধা দক্ষ ও স্বল্প দক্ষ ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ৮১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪২ জন কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়েছে।